প্রাক্তন মাওবাদী নেতা অর্ণবের পিএইচডির ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ, ক্লাস শুরু সামনের সপ্তাহ থেকেই
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন মাওবাদী নেতা অর্ণব দামের পিএইচডির ভর্তির ভেরিফিকেশন পর্ব সম্পূর্ণ হল। আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে ছয় মাসের কোর্স ওয়ার্ক। ভেরিফিকেশনের জন্য শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন অর্ণব দাম ওরফে বিক্রম। সামাজিক ইতিহাসে গবেষণা করার জন্য কোন কোন বই পড়া প্রয়োজন তা এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কাছ থেকে জানতে চান অর্ণব। গবেষণার ব্যাপারে অর্ণব আত্মবিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ তনভির নাসরিন। আর পাঁচজনের মতো অর্ণব বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন বলে এদিন জানিয়েছেন তিনি। অর্ণব এদিন সাংবাদিকদের বলেন, আপাতত আমাকে পড়াশুনাটা করতে দিন। পিএইচডির প্রক্রিয়াটি সবে শুরু হলো। পিএইচডিটা করতে দিন। তারপর আবার আসুন। সব জানতে পারবেন। এদিন বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ তানভীর নাসরিন জানিয়েছেন, পুরনো অতীত, নতুন ভবিষ্যৎ -এইভাবে আমরা বিষয়টা দেখছি না। প্রথমত তাঁর পুরনো অতীতের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি ২৬ জুন থেকে তাঁকে দেখছি। সম্পূর্ণ কম্পোজড, কনফিডেন্ট স্কলার হিসাবেই তাঁকে দেখেছি। এবং সেই আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি কিন্তু কোথাও দেখছি না। সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসে কীভাবে লাইব্রেরী করবো, কোন কোন বই পড়া প্রয়োজন এই বিষয়গুলিই সে আলোচনা করছে। তিনি জানিয়েছেন, এদিন অর্ণবের ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হল। কিন্তু ভেরিফিকেশনের এই পর্যায়েও একজন আগ্রহী, উৎসুক ছাত্র যা যা করে থাকেন, বিভাগীয় প্রধানকে যে ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন, কী ধরনের বই পড়বে, লাইব্রেরীর কীভাবে কার্ড তৈরি করবে – সেই ধরনের কথাই বলেছেন। তানভির নাসরিন জানিয়েছেন, এরপর নোটিফিকেশন দিয়ে জানানো হবে আগামী সপ্তাহ থেকে ক্লাস শুরু হবে। সপ্তাহে দুই দিন আসতে হবে। কোর্স ওয়ার্কের পর্ব শেষ হওয়ার পর অর্ণব বোর্ড অফ রিসার্চ স্টাডি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গাইড ঠিক করবে। তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক ইতিহাসের কোনও বিষয় নিয়ে সে গবেষণা করবেন। তিনি জানিয়েছেন, এখন সে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমার মনে হয় তাঁর লাইব্রেরী ব্যবহারে কোনও অসুবিধা হবে না। অন্যদিকে, তাঁকে ঘিরে যে নিরাপত্তার বিষয় বা দুশ্চিন্তার প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল সে বিষয়ে এদিন তানভির নাসরিন জানিয়েছেন, পিএইচডির কোর্স ওয়ার্ক যারা করবেন তাঁরা প্রত্যকেই প্রাপ্তবয়স্ক। স্নাতকোত্তর করে নেট, সেটের মত পরীক্ষা পাস করে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে গবেষণায় যুক্ত হতে আসছেন। আমার মনে হয়না তাঁরা এতটা অপ্রাপ্তমনস্ক যে পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে যাবেন।