বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমানের রায়না থানার জ্যোতসাদি কয়রাপুর গ্রামে আনিসুর মল্লিক নামে এক যুবককে খুনের ঘটনার পর থেকেই ক্রমশ উত্তেজনা চড়তে শুরু করেছে গোটা এলাকা জুড়ে। গত ঈদের দিন রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজির মাঝে পড়ে নিহত হন আনিসুর মল্লিক নামে ওই যুবক। এই ঘটনায় মৃতের দাদা আজিজ মল্লিক মোট ২৮জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। শুক্রবার রাতে হাওড়ার উলুবেড়িয়া থেকে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আবেদ আলি মির্জা ওরফে আবেলকে বর্ধমান থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মোট ১৫জনকে। শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৮দিনের পুলিশী হেফাজতে পাঠান। এদিকে, এই খুনের ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় চাপা উত্তেজনা বাড়ছে। জানা গেছে, মৃত আনিসুর মল্লিকের পরিবারটি এলাকায় সিপিএমের পরিবার হিসাবেই চিহ্নিত ছিল। গতবছর ঈদের সময় ওই পরিবারের এক গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক হয়ে যান। অন্যদিকে, আনিসুর মল্লিককে খুনের ঘটনার পর এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতি বেপরোয়া হামলা চালায় ৮টি বাড়িতে। বাড়ি ভাঙচুর সহ ব্যাপক লুঠপাট চালানো হয়। আতংকে গ্রামছাড়া হয়ে রয়েছেন ওই পরিবারগুলি। গ্রামছাড়া সেখ গোলাম মোস্তাফা ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এই ভাঙচুর, লুঠপাট এবং তাঁদের গ্রামছাড়া করে রাখার ঘটনায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন ৫জনের বিরুদ্ধে। যদিও এব্যাপারে বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, এখনও তাঁরা কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।