বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আগামী ২৪ জানুয়ারি বর্ধমানের গোদার মাঠে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে আসছেন অন্তত হাফ ডজন রাজ্যের মন্ত্রী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভাকে ঘিরে রীতিমতো সাজো সাজো রব পড়ে গেছে সরকারি মহল-সহ তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে। গোদার মাঠকে সাজিয়ে তুলতে গত ২ দিন ধরে চলছে একটানা কাজ। এরই মাঝে সভাস্থলের মাঠ ভরানোর জন্য তথা মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতিতে রবিবার বর্ধমান টাউন হলে পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারীদের নিয়ে বর্ধিত সভা করল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। উপস্থিত ছিলেন জেলার সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী, বিধায়ক, মন্ত্রীরাও। এদিন আভ্যন্তরীণ এই সভা সম্পর্কে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। এতে দলের কোনও দায়িত্ব থাকে না। দলের পতাকা নিয়েও কেউ যাবেন না। কিন্তু যেহেতু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আসছেন তাই গোটা জেলার মানুষ ভেঙে পড়বেন তাঁকে দেখার জন্য। সেই মানুষগুলো যে আসবেন তাঁদের যাতে সুসংঘবদ্ধ ভাবে নিয়ে আসা যায় সেই জন্য ব্লক সভাপতিদের সাথে এদিন আলোচনা করা হল। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে এই সভার কোনও সম্পর্ক নেই। মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেক বছরই রাজ্যের সমস্ত জেলা সফর করেন। তখন তো সবসময় নির্বাচন থাকে না। এই ধরনের উদ্যোগ আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী নেন নি। তিনি জানিয়েছেন, গোদার মাঠে গত দুবছরের থেকে এবছর বেশি মানুষ আসবেন। অন্যদিকে, রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর যতগুলি প্রকল্প চালু আছে উনি সেগুলি নিজে নিরীক্ষণ করেন। এবং একদম নিচুস্তর পর্যন্ত আধিকারিকদের কাছে প্রকল্পগুলির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেটা কী -সেই বিষয়েও খোঁজ নেন। এছাড়াও প্রশাসনিক বৈঠকে জনপ্রতিনিধি-সহ অন্যান্য ব্যক্তিদের যদি কোনও মন্তব্য থাকে সেগুলি শুনে নিরসনে সচেষ্ট হন। গতবছরও পূর্ব বর্ধমানে জানুয়ারিতেই প্রশাসনিক সভা হয়েছিল। এবছরও জানুয়ারীতেই সভা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে মানুষের প্রচণ্ড আবেগ আছে। উনি যেহেতু দলেরও নেত্রী তাই আমরা সচেষ্ট হই যাতে যাঁরা আসছেন তাঁদের কোনও সমস্যা না হয়। সেই বিষয় নিয়েই এই বৈঠক করা হয়েছে।