E Purba Bardhaman

আমাদের সময়ে সন্দেশখালির ঘটনা ঘটলে পুলিশকে মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিতাম – প্রাক্তন মন্ত্রী অঞ্জু কর

All India Democratic Women's Association's 'Dhikkar March' in Burdwan on Sandeshkhali case.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ”আমাদের সময়ে পুলিশকে দলদাস পুলিশ কিংবা চটি চাঁটা পুলিশ হিসাবে ব্যবহার করা হয়নি। বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর আজও আমাদের মন্ত্রিত্ব থাকলে পুলিশকে বলতাম অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক সাজাহান-সহ বাকি দোষীদের। রেয়াত করতাম না” বলে জানালেন বাম আমলের দীর্ঘদিনের জনশিক্ষা ও প্রসার দপ্তরের মন্ত্রী অঞ্জু কর। সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার পক্ষ থেকে বর্ধমান স্টেশন থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করা হয়। কার্জনগেটের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করা হয়। এরপর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন মহিলা সমিতির সদস্যরা। এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অঞ্জু কর বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে কেবলই চুরি, খুন, লুঠতরাজ, তোলাবাজি, মহিলাদের ওপর নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। আর রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী নির্বিকার, বরং তিনিই এসব ঘটনার মদত দিচ্ছেন। এদিন জেলা পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপিতে মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছে মহিলাদের ওপর। মহিলাদের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচারের ঘটনা এই জেলাতেও ক্রমবর্ধমান। অবিলম্বে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভানেত্রী মণিমালা দাস, সম্পাদিকা সুপর্ণা ব্যানার্জী জানিয়েছেন, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা এবং বর্বরোচিত ঘটনা সন্দেশখালি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু মহিলাদের এভাবে ভয় দেখিয়ে, বন্দুক দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।

Exit mobile version