গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দপ্তরের ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে বিদ্যুৎ দপ্তরের বেনাচিতি কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনার বিষয়ে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তথা স্টেশন ম্যানেজার প্রণয় কুমার মাজি পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে সরকারি অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে পৃথক তদন্ত শুরু করেছে বিদ্যুৎ দপ্তর। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সামনে আসার পরই অফিসে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন অভিযুক্ত রঞ্জন সাহা। গ্রেপ্তার এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, আইনজীবীরা জেলা জজকে বয়কটের কারণে এদিন আবেদনের শুনানি হয়নি। আগামী ২৩ আগস্ট জামিনের আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব সামলেছেন রঞ্জন। তার কাছেই অফিসের ভল্ট ও আলমারির চাবি থাকত। জমা পড়া টাকা তিনি ব্যাংকে রাখতেন। গত ১৪ জুন দুপুরে তিনি অফিস থেকে কাউকে না জানিয়ে চলে যান। কয়েকদিন তিনি অফিসে না আসায় অন্যজনকে তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, জমা পড়া ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৮৫ টাকার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। এনিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের ডিভিশনাল অফিস তদন্তে নামে। তদন্তে রঞ্জন টাকা আত্মসাত করেছে বলে ধরা পড়ে। এরপর অফিসের তরফে বারবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। কিছুদিন আগে অফিসে এসে মুচলেকা দিয়ে টাকা আত্মসাতের কথা কবুল করেন রঞ্জন। টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও মুচলেকায় জানান তিনি।