বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিজেপির দেওয়াল লিখনে বাধা ও বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় তৃণমূলকে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানের কাঞ্চননগর এলাকা তথা বিজেপির ৫নং নগর মন্ডলের সহ-সভাপতি অজয় পোদ্দার অভিযোগ করেছেন, তাঁরা বুধবার দেওয়াল লিখছিলেন। একটা জায়গা শেষ করে আর একটা জায়গা লিখতে যাবার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা সেখানে জড়ো হয়ে তাঁদের হুমকি দিতে থাকেন। দেওয়াল লিখনে বাধা দেয়। কিছু সময় পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ তাঁদের বাড়িতে ঢুকিয়ে দেয়। কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ চলে যাওয়ার পর তাঁর বাড়িতে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অজয় পোদ্দারের অভিযোগ। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁর গোটা পরিবার আতঙ্কিত। গোটা ঘটনা বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাস জানিয়েছেন, বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার ৫ নম্বর নগর মন্ডলের উদ্যোগে ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে নেতৃত্বদের মাধ্যমে দেওয়াল লিখন ও পতাকা লাগানোর কাজ চলছে। বুধবার সন্ধ্যায় দেওয়াল লিখন শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা তাঁদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। শ্লোগান, ইট ছোড়াছুড়ি করে। যদিও তাঁরা ইতিমধ্যেই ২৩, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে অনেক দেওয়াল লিখে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে, এই ঘটনা সম্পর্কে বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূলকে তো দেখতে পাচ্ছি না, শুধু পতাকা দেখছি। তৃণমূল কোথায় আছে? প্রার্থী কদিন সকালে বিকালে হাঁটলেন, তারপর তাঁকেও দেখা যাচ্ছে না। আমাদের দেওয়াল লিখনে ওদের খুব কষ্ট। বুধবারও মারধোর করার চেষ্টা করেছে। বিধায়ক লোক পাঠিয়ে ঝামেলা করছে। আমাদের আটকানোর চেষ্টা না করে তোমরা যাওনা পাবলিকের কাছে পাবলিক ভোট দেবে। পাবলিকের কাছে যাওয়ার মুখ নেই। ওদের নেতা বলেছেন পাবলিকের কাছে ভোট চাইতে লজ্জা করছে। এরপর ভয় করবে ভোট চাইতে।
এব্যাপারে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, এরকম কোনও ঘটনা আমাদের জানা নেই। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস নিজের দিক দিয়ে প্রচন্ড শক্তিশালী। তৃণমূল কংগ্রেস অন্য রাজনৈতিক দলকে প্রচারে বাধা দেবে এটা আমরা মনে করিনা। সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রচার করছে। দিলীপ ঘোষ প্রতিদিন কি ধরণের বক্তব্য রাখছে দেখতে পাচ্ছেন, তারপরও তৃণমূল কংগ্রেস কোথাও তার কাছে গিয়ে প্রতিবাদ করেনি। সুতরাং দেওয়াল লিখনে বাধা দিতে যাবে কেন? এই রকম কোনও ঘটনা ঘটলে থানা এবং নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান।