বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- এক যুবতীকে নৃত্য প্রদর্শনের জন্য বিহারে নিয়ে গিয়ে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে জিরো এফ.আই.আর. করে তা সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিল বর্ধমান সিজেএম আদালত। যুবতী যাতে বিচার পান সেজন্যই এই ব্যবস্থা বলে নিের্দশে জানিয়েছেন সিজেএম চন্দা হাসমত। এ বিষয়ে ১৬ ডিসেম্বর আইসিকে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য নিের্দশ দিয়েছেন সিজেএম।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে বছর পঁচিশের ওই যুবতীর বাড়ি। তিনি বিভিন্ন জায়গায় নৃত্য প্রদর্শন করেন। তার থেকে আয়ে তাঁর সংসার চলে। কিছুদিন আগে এলাকার কয়েকজন তাঁকে নৃত্য প্রদর্শনের জন্য বিহারে নিয়ে যায়। সেখানে নাচের অনুষ্ঠান চলাকালীন যুবতী জানতে পারেন, তাঁকে এবং আরও তিনজনকে বিহারের দ্বারভাঙায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি এর প্রতিবাদ করেন। সেজন্য তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তাঁকে এবং অপর তিন যুবতীকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। আটকে রেখে তাঁদের দেহ ব্যবসায় নামার জন্য চাপ দেওয়া হয়। যুবতী তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁর শিশুকন্যাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। তাতেও তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তিনি যাতে পালাতে না পারেন সেজন্য তাঁর পায়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। রাতে সেখান থেকে কোনও রকমে শিশুসন্তানকে নিয়ে তিনি পালাতে সক্ষম হন। এরপর ট্রেনে তিনি বর্ধমানে পৌঁছান। যুবতীর অভিযোগ, বিষয়টি বর্ধমান থানায় জানান। কিন্তু, থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এসপিকে জানিয়েও সুরাহা না মেলায় তিনি আদালতে মামলা করেছেন। নিের্দশে সিজেএম জানিয়েছেন, অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিসের এফআইআর রুজু করা উচিত ছিল। নারী পাচারের মতো একটি গুরুতর ঘটনায় অবশ্যই মামলা করা উচিত ছিল। কিন্তু, যুবতীর পক্ষে বিহারে গিয়ে অভিযোগ জানানো সম্ভব নয়। সে কারণে জিরো এফআইআর করে সেটি তদন্তের জন্য বিহারের সিকতা থানায় পাঠানোর জন্য থানার আইসিকে নির্দেশ দেওয়া হল।