E Purba Bardhaman

পূর্ব বর্ধমানে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে স্থগিত করার অভিযোগ

Alleged suspension of head teacher recruitment process in Purba Bardhaman for political reasons

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- প্রাথমিক স্কুলে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার পিছনে কিছু দুরভিসন্ধি মানুষের চক্রান্ত রয়েছে। সঠিক নিয়ম তথা সিনিয়রিটি না মেনে অন্যদের সুযোগ পাইয়ে দেবার জন্যই এই জেলায় ৪৪ টি চক্রের মধ্যে ১৬ টি চক্রে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হলেও বাকিগুলির ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াকে স্থগিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে গেলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজ্য আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। রবিবার বর্ধমানে সাংবাদিক বৈঠকে এই জেলায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে সে সম্পর্কে আগামী দিনে আইনগত লড়াইয়েরও হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর থেকে এই রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষকের বদলে টিচার ইনচার্জ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। এব্যাপারে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে লাগাতার আন্দোলনের পর গত প্রায় ১ বছর ধরে এব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলায় এব্যাপারে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়। কিন্তু ভোট ঘোষণার আগের দিন ১৫ মার্চ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে আচমকাই ভোটের অজুহাত দেখিয়ে এই প্রক্রিয়াকে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপরই বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন আন্দোলনে এবং বিক্ষোভে নেমেছে। রবিবার ‘উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’-এর পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয় এব্যাপারে তাঁরা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না। আচমকা এই প্রক্রিয়া বন্ধ করায় নানাবিধ অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। এদিন ভাস্কর ঘোষ বলেন, মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সমগ্র বিষয় নিয়ে আইনি লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত রয়েছেন। কারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়ায় কোনো অসুবিধা নেই। এদিন এই সাংবাদিক বৈঠকে উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক কৌশিক মল্লিক, আমজাদ আলি প্রমুখরাও হাজির ছিলেন।

Exit mobile version