Site icon E Purba Bardhaman

ফেরিঘাটের মৌরসীপাট্টা ভাঙতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নতুন করে টেন্ডার, বকেয়া আদায়ে ফেরিঘাট চলোর ডাক

An initiative has been taken to re-tender the ferries under the Purba Bardhaman Zilla Parishad

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বকেয়া টাকা আদায়ের লক্ষ্যে এবার পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদ সপ্তাহব্যাপী ফেরিঘাট চলো অভিযানের ডাক দিল। জানা গেছে, জেলা পরিষদের অধীনে থাকা ১২ টি ফেরীঘাট থেকে বকেয়া প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। আর এই বকেয়া টাকা আদায়ে এবার নজীরবিহীনভাবে সপ্তাহব্যাপী ‘ফেরীঘাট চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার। তিনি জানিয়েছেন, অজয়, দামোদর ও ভাগীরথী -এই তিন নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের প্রায় ১২ টি ফেরীঘাট থেকে জেলাপরিষদের পাওনা বাকি প্রায় ৩০ লাখ টাকা। শুধুমাত্র গলসীর শিল্যাঘাট, কালনার নসরৎপুর ও দাঁইহাটে বকেয়া পড়ে আছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। জেলাপরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ মাস ধরে এই বকেয়া টাকা ফেরীঘাট মালিকরা জেলাপরিষদে জমা দেননি। সম্প্রতি জেলাপরিষদের নিজস্ব তহবিল গঠন নিয়ে অর্থের স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এই বিষয় উঠে আসে। তারপরেই জেলা পরিষদের তরফে এই বকেয়া অর্থ আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। An initiative has been taken to re-tender the ferries under the Purba Bardhaman Zilla Parishad
সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানিয়েছেন, জেলার প্রায় ১২ টি ঘাটেই কমবেশী করে টাকা বকেয়া আছে। সেই টাকা আদায়ে একসপ্তাহ ব্যাপী ‘ফেরিঘাট চলো’ বলে একটি কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। এই একসপ্তাহে ১২ টি ফেরীঘাট পরিদর্শন ও ফেরীঘাটের মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে। এই এক সপ্তাহের মধ্যে ১২ টি ফেরীঘাটেরই টাকা আদায় করা হবে। এর ফলে জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিলে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মতো জমা পড়বে। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত ফেরীঘাটের টেন্ডার শেষ হয়ে গেছে সেগুলির নতুন করে টেন্ডার করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যতদিন না পর্যন্ত নতুন টেন্ডার হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত টেন্ডার রাশি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ফেরীঘাট মালিকদের ঘাট চালাতে দেওয়া হচ্ছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসাবে আসীন হবার পরই শ্যামাপ্রসন্ন লোহার ঘোষণা করেন, ফেরিঘাটের মৌরসীপাট্টা আর চলতে দেওয়া হবেনা। একইব্যক্তি দিনের পর দিন ফেরিঘাটের দায়িত্ব পাবেন এই প্রথা ভাঙা হবে। তিনি জানান, বৈধভাবে যিনি টেন্ডারে অংশ নিয়ে বরাত পাবেন তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। কোনো সুপারিশ গ্রাহ্য হবে না। সভাধিপতি জানিয়েছেন, নতুন করে টেন্ডার হলে জেলা পরিষদের আয় অনেকটাই বাড়বে।

Exit mobile version