বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূজোর নামে পশুবলি বন্ধে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং সিপিএমের রাজ্য কমিটির কাছে লিখিত আবেদন জানালেন বর্ধমানের একটি পশুপ্রেমী সংগঠন। আসন্ন দুর্গাপুজো এবং কালীপূজো উপলক্ষ্যে দেশ জুড়ে পশুবলি বন্ধের এই আবেদন নিয়ে এবার রাস্তায় নামতে চলেছে ভয়েস ফর ভয়েসলেশ নামে একটি পশুপ্রেমী সংগঠন। সংগঠনের বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিত মুখার্জ্জী জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁরা পশুদের ওপর অত্যাচার বন্ধের জন্য কাজ করছেন। এবার তাঁরা সংস্থাগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুজোর নামে এই পশুবলি বন্ধের জন্য জনমত গড়ে তুলবেন। আর এব্যাপারে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং সমস্ত স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রধানদের কাছেও বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়ে এগিয়ে আসার আবেদন জানানো হয়েছে। রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে মানবিক দিক থেকে গোটা বিষয়টি বিচার করে এব্যাপারে সরকারীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে। অভিজিতবাবু জানিয়েছে্ন, বৃহস্পতিবারই তাঁরা এই আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন দেশের সর্বময় কর্তাদের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, কোনো পিতামাতাই যেমন তাঁর সন্তানের বিনাশ চাইতে পারেন না, তেমনই পুজোর নামে মায়ের নামে এই পশুবলিও কখনও কোনো মায়ের কাম্য হতে পারে না। তিনি জানিয়েছেন, আগামী রবিবার থেকে দেশ জুড়ে এই পশুবলি বন্ধের জন্য তাঁরা একটি ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রচার শুরু করছেন। পশুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করা এবং পশুবলি বন্ধের জন্য তাঁরা এই জনসচেতনতা গড়ে তুলতে চাইছেন। উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি এবং হিউম্যানিষ্টস এ্যাসোসিয়েশন ধর্মের নামে পশু হত্যা বন্ধের জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বর্ধমান জেলার তত্কালীন জেলাশাসক ডা. সৌমিত্র মোহনের উদ্যোগে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে মোষ বলি এবং বর্ধমান শহরের কালীবাজারের বড়মা (কালী) মন্দিরে পশুবলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৬০ সালের পশুদের ওপর হিংস্রতা নিবারণ আইন সহ অন্যান্য আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে পশু হত্যা নিষিদ্ধ। এই আইন অনুসারেই কেবল ধর্মীয় স্থান নয় প্রকাশ্যে গরু, ছাগল, মুরগী কাটাও নিষিদ্ধ।