বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-সহ সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে তাঁরা কোনোরকম অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করতে রাজী নন। শুক্রবার প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের ৬ষ্ঠ জেলা সম্মেলনের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই নিজেদের অবস্থান জানালেন সংগঠনের রাজ্য চেয়ারম্যান সেখ আলহ্বাজউদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছে মোট ১৪০টি নার্সিংহোম। যার মধ্যে এদিন এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন ১২০ জন নার্সিংহোম মালিক। তিনি জানিয়েছেন, এদিন এই সম্মেলনে প্রত্যেক নার্সিংহোম মালিকের কাছেই আবেদন রাখা হয়েছে যাতে কোনো মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে ফেরত না যান তা নিশ্চিত করা। অনেক সময়ই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের চিকিৎসা করাতে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অনীহা প্রকাশ করেন, রোগীকে ফেরত পাঠান, এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও বারবার এব্যাপারে হুঁশিয়ারী দিতে হয়েছে – এই বিষয়ে আলহ্বাজউদ্দিন জানিয়েছেন, যদি কেউ এরকম করেন, তাঁদের সংগঠন সেই সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এদিন সম্মেলন থেকে নতুন কমিটিও ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলী তা গুপ্ত, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) অতনু ঘোষাল, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী, সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কানাইলাল দাস, নদীয়া জেলার কর্মকর্তা নাজমূল সেখ, পূর্ব বর্ধমান জেলার নব-নির্বাচিত সভাপতি আনিসুর মণ্ডল, বর্ষীয়ান কর্মকর্তা সৈয়দ আরজাদ হোসেন প্রমুখরা।