নিজস্ব প্রতিবেদন, আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান) :- আউশগ্রাম থানার বিল্বগ্রাম অঞ্চলে তৃণমূলের সভাপতি উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম রাধাবল্লভ ঘোষ। আউশগ্রাম থানার ব্রজপুরে তার বাড়ি। শনিবার রাতে ব্রজপুর থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। তার নাম এফআইআরে রয়েছে। রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। কেসের পুনর্নির্মাণ, অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার এবং বাকি জড়িতদের উদ্ধারের কথা বলে ধৃতকে ১০ দিন নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতকে ৮ দিন পুলিসি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম কল্লোল ঘোষ। এর আগে ঘটনায় ৫ জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তারা সকলেই পুলিসি হেপাজতে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রাধাবল্লভের হদিস পায় পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, বুধবার রাত ৮ টা নাগাদ আরও কয়েকজনের সঙ্গে বনপাশ রেলগেটের কাছে একটি চায়ের দোকানে গল্পগুজব করছিলেন উজ্জ্বলবাবু। সেই সময় ৭-৮ টি বাইকে চেপে কয়েকজন দোকানের সামনে আসে। দোকানের পিছনের মাঠ দিয়ে আরও কয়েকজন সশস্ত্র দুষ্কৃতি সেখানে আসে। তারা দু’টি বোমা ফাটায়। ভয়ে অন্যান্যরা পালাতে পারলেও উজ্জ্বলবাবু পারেননি। তাকে দোকান থেকে টেনে বের করে মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। মরে গিয়েছেন ভেবে হামলাকারীরা তাকে ফেলে রেখে বোমা ফাটাতে ফাটাতে পালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে দাদাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন সজল বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে হুগলির ডানকুনির কাছে মারা যান উজ্জ্বলবাবু। নিজেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করে সজলবাবু দাদার মৃত্যুর বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।