বিপুন ভট্টাচার্য, আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান) :- আউশগ্রামে চাঁদনীর উদ্বোধনে এসে নাম না করে বিজেপির উদ্দেশ্যে অনুব্রত মণ্ডল বলে গেলেন, আমরা ঈশ্বরকে ভুলতে রাজি নয়। আবার আল্লা কেও ভুলতে রাজি নয়। আমরা কারোর কাছে হিন্দুত্ব শিখবো না। কারোর কাছে হিন্দুত্ব সম্পর্কে জ্ঞান নেব না। কারণ, আমরা বড়ো হিন্দু। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সবকিছুতেই সচেতন। আমরা ধর্মে সচেতন, উন্নয়নেও সচেতন বলে জানিয়ে গেলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, আমরা পুরনো দিনের জিনিস গুলোকে মানুষকে মনে পড়িয়ে দিতে চাই। যা ২০০-৩০০ বছর আগেকার হলেও এতদিন বামফ্রন্ট সরকারের চোখে পড়েনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এইসমস্ত স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে। তাই এখানকার বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার চাঁদনীর সংস্কারে হাত দিয়েছিলেন। পাশাপাশি আউশগ্রামের পর্যটনকে ফিরিয়ে আনতে অনুব্রতবাবু এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিধায়ককে নির্দেশ দেন দিগনগরের জগন্নাথ দেবের মন্দিরের সংস্কারের কাজ শুরু করার। তাতে সাহায্যের প্রয়োজন হলে, তিনিও সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১৭১০ খ্রীষ্টাব্দে তত্কালীন বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচাঁদ আউশগ্রামের এই দীগনগরের চাঁদনি এলাকায় তৈরী করেছিলেন জলটুঙ্গি। মনোরম চর্তুদিকে জল দিয়ে ঘেরার মাঝে একটি স্মৃতিসৌধ। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গোটা এলাকা ছিল জঙ্গলে ঘেরা। স্মৃতিসৌধও ভেঙ্গে পড়ছিল। সম্প্রতি গোটা বিষয়টি নজরে আসে আউশগ্রামের বিডিও চিত্তজিত বসুর। এরপরই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জলটুঙ্গির সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়। ১০০দিনের প্রকল্পে গোটা এলাকাকেও সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সোমবার এই জলটুঙ্গির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আসেন ডবলু বি এস আর ডি এ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল। হাজির ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমা শাসক পুষ্পেন্দু সরকার, বিডিও চিত্তজিত বসু প্রমুখরাও।