E Purba Bardhaman

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সার্ভের কাজ না করার দাবীতে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিক্ষোভ

Asha and Anganwadi workers staged a protest program demanding that the Pradhan Mantri Awas Yojana survey was not carried out.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের উপর আবাস যোজনার সার্ভের কাজ চাপানো ও সেই কাজকে ভিত্তি করে তাঁদের উপর হামলা ও হেনস্থার প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হলেন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতেই সরকারীভাবে এই প্রকল্পে বাড়ি-বাড়ি উপভোক্তাদের নাম খতিয়ে দেখতে আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাজে লাগানো হয়। আর সেই কাজ করতে গিয়েই গোটা রাজ্য জুড়েই আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ওপর জুলুম, সন্ত্রাস এমনকি মাত্রাতিরিক্ত অত্যাচারের জেরে আত্মহত্যা করার অভিযোগও উঠেছে। আর এরপরেই এই প্রকল্পের কাজ না করার দাবীতে সোচ্চার হন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পূর্ব বর্ধমান জেলার ইনচার্জ ঝর্ণা পাল জানিয়েছেন, যতদিন যাচ্ছে ততই এই আবাস যোজনার নতুন নতুন দুর্নীতি বেড়িয়ে আসছে। আর তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। এই ঘটনার জেরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এই আবাস যোজনার তালিকা তাঁরা করেননি। কাজেই এই তালিকার দায়ভার তাঁদের ওপর চাপানো হলে তাঁরা ছেড়ে কথা বলবেন না। তিনি জানিয়েছেন, এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারকে তাঁরা জানিয়েছেন, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কাজ ছাড়া তাঁদের দিয়ে এই কাজ করানো যাবে না। তিনি জানিয়েছেন, আবাস যোজনার সার্ভে আমরা করবো না। গোটা রাজ্য জুড়ে এই ঘটনায় আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। ঝর্ণা পাল জানিয়েছেন, কেতুগ্রাম -২ -এর পঞ্চায়েত অফিসে হেনস্থা করা হয় আশাকর্মীকে। হেনস্থার জেরে তিনি জ্ঞান হারান। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কালনায় রান্না করার সময় আশাকর্মীকে রান্নাঘরে ঢুকিয়ে হেনস্থা করা হয়। রান্নার সরঞ্জাম নষ্ট করা হয়। এই ঘটনায় তাঁর ৮ বছরের মেয়ে সংজ্ঞা হারায়। তাঁর সবজী বাগান তছনছ করে দেওয়া হয়। ভাতারে আশা কর্মীর খড়ের পালুইয়ে আগুন ধরানো হয়েছে। ভাতারের খেড়ুরে তালাবন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়। বর্ধমান, খণ্ডঘোষে আশাকর্মীদের বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশকে জানিয়েও পুলিশ কোনো সুরাহা করছে না। পুলিশ যাচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, এদিন জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁরা দাবী জানিয়েছেন তাঁদের সঠিক নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রতিকার না হলে ৭ দিন পর গোটা বর্ধমান শহর অচল করা হবে। স্তব্ধ করা হবে প্রশাসনিক কাজকর্ম। তিনি জানিয়েছেন, এই কর্মসূচীর জন্য কোনো অনুমতিও তাঁরা নেবেন না। তিনি জানিয়েছেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তাই নিজেদের বাঁচাতে আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। এঘটনা তাঁরা মানছেন না। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বর্ধমান স্টেশন থেকে মিছিল সহকারে এসে কার্জনগেট চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখান আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।

Exit mobile version