E Purba Bardhaman

কৃষি বিপণন দপ্তরের নির্দেশে চাষির মত না নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া আলুর দাম চাষিকে মিটিয়ে দিল হিমঘর কর্তৃপক্ষ

প্রতীকি চিত্র

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কৃষি বিপণন দপ্তরের নির্দেশে বিক্রি করে দেওয়া আলুর দাম চাষিকে মিটিয়ে দিল হিমঘর কর্তৃপক্ষ। চেকে পুরো টাকা মিটিয়ে দিয়েছে হিমঘর। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর টাকা পেয়ে খুশি বর্ধমান থানার নতুনগ্রামের চাষি বুদ্ধদেব ঘোষ। তিনি বলেন, চাষিদের মত না নিয়ে হিমঘরে মজুত রাখা আলু বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা আকছার ঘটছে। দাম বাড়লে হিমঘর কর্তৃপক্ষ মুনাফার লোভে আলু বিক্রি করে দেয় তাতে হিমঘরের লাভ হয়। আর চাষিরা লোকসানের মুখে পড়েন। এ ধরণের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য লড়াই চালিয়েছি। টাকা পেয়ে ভালো লাগছে। এ ধরণের ঘটনা যাতে বন্ধ হয় তা কৃষি বিপণন দপ্তরের দেখা উচিত। কৃষি বিপণন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে বর্ধমানের গোদা এলাকার একটি হিমঘরে ৮৫৮ বস্তা আলু জমা রাখেন বুদ্ধদেব। তাকে না জানিয়েই আলু বিক্রি করে দেয় হিমঘর কর্তৃপক্ষ। আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে তাঁকে জানানো হয়। কিন্তু, হিমঘরের কাছে পুরো আলুর দাম দাবি করেন বুদ্ধদেব। যদিও তা দিতে রাজি হয়নি হিমঘর কর্তৃপক্ষ। টাকা না পেয়ে প্রশাসনের নানা মহলে দরবার করেন বুদ্ধদেব। হিমঘর কর্তৃপক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে তাঁকে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে বলে। সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে কৃষি বিপণন দপ্তরের ডিরেক্টরের কাছে আবেদন করেন বুদ্ধদেব। তার ভিত্তিতে হিমঘর কর্তৃপক্ষ ও চাষিকে আলাচোনায় ডাকে কৃষি বিপণন দপ্তর। সেখানে দেখা যায়, সেই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু মজুত রাখার ব্যাপারে কৃষি বিপণন দপ্তরের নির্দেশ ছিল। তার আগেই চাষিকে না জানিয়ে মজুত রাখা আলু বিক্রি করে দিয়েছে হিমঘর কর্তৃপক্ষ। ৮৫৮ প্যাকেট আলুর দাম বাবদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭০০ টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য হিমঘর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় কৃষি বিপণন দপ্তর। সেই টাকা মিটিয়ে দেয় হিমঘর কর্তৃপক্ষ। পরে ক্ষতিপূরণ বাবদ আরও ৪৩ হাজার ৯০৬ টাকা কৃষি বিপণন দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য হিমঘর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো হিমঘর কর্তৃপক্ষ কৃষি বিপণন দপ্তরে চেক জমা দেন। সেই চেক হাতে পেয়েছেন বুদ্ধদেব। কৃষি বিপণন দপ্তরে বিচার পেয়ে খুশি তিনি।

Exit mobile version