বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২১ লক্ষাধিক টাকা ফিক্সড ডিপোজিটকে অবৈধভাবে ভাঙিয়ে টাকা তুলে নেবার চেষ্টা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন কর্মী এবং বর্তমান এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন বর্ধমানের বড়বাজারের ইউকো ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার নেহা রানি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগে নেহা রানি জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁর কাছে একটি চিঠি আসে যেখানে একটি ফিক্সড ডিপোজিট যার আর্থিক মূল্য ২১.৫৫ লক্ষ টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তুলে নেবার কথা জানানো হয়। নিয়মানুযায়ী স্বাক্ষরকারীর স্বাক্ষর সংক্রান্ত সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে এই ধরনের কোনো চিঠিই দেওয়া হয়নি। এরপরই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এব্যাপারে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই সেখ এনামূল হক এবং ভক্ত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। উল্লেখ্য, সেখ এনামূল হক ১৯৯০ সালের ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ড হিসাবে চাকরিতে যোগ দিলেও ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হিসাবে অবসর নেন। যদিও বর্তমানে তাঁকে আবার পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ভক্ত মণ্ডল ২০১০ সালের ১৯ নভেম্বর জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হিসাবে চাকরিতে যোগ দেন এবং ২০১৯ সালে ১৯ নভেম্বর তিনি সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে পদোন্নতি পান। এর মধ্যে সেখ এনামূল হকের বাড়ি বর্ধমানের নতুনগঞ্জ এলাকায় এবং ভক্ত মণ্ডলের বাড়ি খণ্ডঘোষের মাসিলা শশঙ্গা এলাকায়। এদিকে, এব্যাপারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্র জানিয়েছেন, সেখ এনামূল হক এব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানিয়ে গেছেন। কিন্তু মূল অভিযুক্ত ভক্ত মণ্ডলকে শোকজ করা হলেও তিনি তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হননি। এব্যাপারে এনামূল হক জানিয়েছেন, “যা বলার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলবেন। আমি নির্দোষ।” অপরদিকে, ভক্ত মণ্ডল জানিয়েছেন, “আমার কাকা অসুস্থ। আমি গত ১১-১২ দিন ধরে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পড়ে রয়েছি। যে সময়ের ঘটনা বলা হচ্ছে, আমি তখন দুর্গাপুরেই। কাজেই ওই সব ঘটনায় আমি যুক্ত নই।”