মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে নিজের জেঠিমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগে মেমারী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করল এক যুবককে। ধৃতের নাম সৌরভ দাস। বাড়ি মেমারী থানার পূর্ব গন্তার এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পুলিশ পূর্ব গন্তার গ্রামের বাসিন্দা রত্মা দাস (৫৭)-এর মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতের কন্যা রিম্পা দাস কুণ্ডু এব্যাপারে লিখিত অভিযোগে তাঁর মাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন। রিম্পা দাস কুণ্ডু জানান, ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত্রি প্রায় ১০ টা ১৫ মিনিট নাগাদ তাঁর ছোট বোন প্রিয়ান্বিতা দে তাঁকে ফোন করে জানান, রত্নাদেবী অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন। এই খবর শুনে বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখেন দোতলার ঘরে তাঁর মা চিত হয়ে পড়ে রয়েছেন। এরপরই তিনি এবং তাঁর দিদি মৌমিতা নন্দী উভয়েই লক্ষ্য করেন তাঁর মায়ের গলার দুপাশে আঁচড়ের দাগ এবং কানের নিচে রক্তের দাগ। তাঁদের সন্দেহ তাঁর মাকে কেউ খুন করেছে। এদিকে, রিম্পা দাসের এই অভিযোগ পেয়ে এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি রত্না দে-র ময়না তদন্তে প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ করে খুন করার লক্ষণ পায় পুলিশ। এরপরেই পুলিশ তদন্তে নামে। মঙ্গলবার পুলিশ মৃতার দেওরপো সৌরভ দাসকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার তাকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই এই খুন করা হয়ে থাকতে পারে।