বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বল বন্দোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনার ১০দিনের মাথায় মূল অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। এর আগেই গ্রেপ্তার করা হয়ে ছিল ৭ অভিযুক্তকে। ১৩ জুন রাতে দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন আউশগ্রামের বিল্বগ্রাম অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বল বন্দোপাধ্যায়। ওইদিন বনপাশ রেলগেটের পাশে চায়ের দোকানে কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে বসেছিলেন তিনি। সেসময় বোমাবাজি শুরু হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। পালিয়ে যাবার সময় তাঁকে ধরে ব্যাপক মারধোর করা হয়। তার পা ও মাথায় আঘাত লাগে। মনা বাগ্দী নামে তার এক সঙ্গীও জখম হয়। রাতে দুজনকেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উজ্জ্বল বন্দোপাধ্যায়কে কলকাতার পিজিতে রেফার করা হয়। পথেই ডানকুনির কাছে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার চারদিন পর মৃত নেতার বাড়ি গিয়েছিলেন বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার। গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। শেষ পর্যন্ত গ্রাম থেকে চলে যেতে বাধ্য হন বিধায়ক। মূল অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান গ্রামবাসীরা। বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজনকে তদন্তের স্বার্থে পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সূত্র মারফত তাঁরা খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেন মূল অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডলকে। শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ৮দিনের পুলিশী হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, এই খুনের ঘটনায় মোট ১৫ জনের নামে এফআইআর করেন মৃতের ভাই সজল বন্দোপাধ্যায়। যদিও এদিন ধৃত জয়দেব মণ্ডল তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো কিছু বলতে চাননি।