বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- নিত্যনতুন বাজারে আসছে ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটের বিভিন্ন মডেল। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, হেডফোন থেকে শুরু করে একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রতি মুহূর্তেই যেন ‘পিছিয়ে পড়ছে’। আর এই অবস্থায় তৈরি হচ্ছে বিপুল পরিমাণে বৈদ্যুতিন বর্জ্য। যা গোটা বিশ্বের কাছে একটা বড় হুমকি। আর এই বৈদ্যুতিন বর্জ্যকে কমিয়ে আনার জন্য অথবা সেগুলিকে কীভাবে পুনর্ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। করা হচ্ছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচিও। সোমবার এই বিষয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত হলো একটি শিক্ষামূলক আলোচনা সভা। এদিনের আলোচনা সভায় স্টার্ট আপ ফাউন্ডেশনের দেবজিৎ পাল ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাজারে নিত্যনতুন আসছে মোবাইল ফোন আর কম্পিউটারের মডেল। মাউস, হেডসেট, স্পিকার কোনোটাই আর খুব বেশি দিন চলে না। ছুঁড়ে ফেলছি পুরনোটা। কিন্তু ফেলছি কোথায়? ডাস্টবিন আর ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে এদের ক্ষতিকারক প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের বসতিতে। বৈদ্যুতিন বর্জ্য কীভাবে সামলাব আমরা নিশ্চিত নই। বলেই বা দেবে কে? সাধারণ ময়লার সঙ্গে এর অনেক তফাত। দেবজিৎ পাল গল্পের মধ্যে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরলেন প্রয়োজনীয় কর্তব্য। বৈদ্যুতিন বর্জ্য কতখানি বিপজ্জনক এবং কেমন করেই বা তার ডিসপোজ করতে হবে। দৃষ্টান্ত দিলেন ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকের, যেখানে মেডেলে এই বর্জ্য ব্যবহার করা হয়েছিল। দেবজিৎ পাল জানান, গোদরেজের সঙ্গে মিলিতভাবে হুল্লাডেক নামের একটি সংস্থা নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে তাদের বাড়ির বৈদ্যুতিন বর্জ্য সংগ্রহ করবে এবং বিনিময়ে অর্থও দেবে। কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত জানান, ই-ওয়েস্টে তেজস্ক্রিয় কিছু উপাদান থেকে যায়। সেসব এখন সবার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে এই জাতীয় আলোচনা শুধুমাত্র পড়ুয়াদের জন্য নয় সবার কাছেই শিক্ষণীয়।