বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা এটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি বর্ধমান জেলা পুলিশে গঠিত হয়েছে নতুন সাইবার সেল। আর নতুন সাইবার সেল গঠন হবার পরই গ্রাহকদের সচেতন করার উদ্যোগ নিল জেলা পুলিশ। বুধবার বর্ধমানের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের নিয়ে এব্যাপারে বৈঠকও করলেন জেলা পুলিশের কর্তারা। কার্যত, এটিএম জালিয়াতি নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পর এবার পুর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগেও শুরু হল ব্যাপক সচেতনতার কর্মসুচি। বৈঠক শেষে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার স্নেহাশীষ চৌধুরী উদ্যোগে বুধবার বর্ধমান শহরের বেশ কয়েকটি অভিজাত শপিংমল এবং কয়েকটি জুয়েলারি দোকানে গিয়ে দোকানের মালিক, কর্মচারী এবং ক্রেতাদের এই সাইবার ক্রাইম নিয়ে সচেতন করা হয়। এদিন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ তারা পেয়েছেন। তার মধ্যে ৪৫ হাজার টাকা গ্রাহকদের ফিরিয়েও দিতে পেরেছেন। বাকিগুলিও তাঁরা ফেরত দেবার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এদিনই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিদের নিয়ে এই জালিয়াতির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এটিএমগুলিতে সবসময়ের নিরাপত্তারক্ষী আছে কিনা? কিংবা তাঁরা সঠিকভাবে কাজ করছেন কিনা তা যাচাই করার জন্য পুলিশ ও ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিদের নিয়ে আচমকা পরিদর্শন চালানো হবে। সেখানে কোনো ত্রুটি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই পাশাপাশি এদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ধরণের জালিয়াতি রুখতে কিভাবে গ্রাহকদের তাদের এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে? কি ধরণের নিরাপত্তা রাখতে হবে সে ব্যাপারে ব্যাপকভাবেই তাঁরা প্রচার চালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে আলোচনাসভা, লিফলেট, ব্যানারের মাধ্যমেও এব্যাপারে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাইবার সেলের ওসি স্নেহাশীষ চৌধুরী এদিন এই সমস্ত শপিং মলে গিয়ে গ্রাহক ও ক্রেতাদের কার্ড সোয়াইপ মেশিনে কিভাবে পেমেন্ট কার্ড ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে সচেতন করেন। ক্রেতাদের অহেতুক বিভ্রান্তির মধ্যে না পড়ে এব্যাপারে সচেতন হবার আহ্বান জানান।