E Purba Bardhaman

সবাই যদি জাস্টিস চায়, তাহলে অন্যায়টা করল কে? ‘বাংলা মোদের গর্ব’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশ্ন বক্তার

'Bangla Moder Gorbo' festival started in Burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ‘সবাই বলছে এখন জাস্টিস চাই, জাস্টিস চাই। কিন্তু সবাই যদি জাস্টিস চায়, তাহলে অন্যায়টা করলো কে? চিহ্নিতকরণ হবে, ব্যবস্থা হবে, বিচারও হবে।’ রবিবার বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল মাঠে ‘বাংলা মোদের গর্ব’ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এই মন্তব্য করলেন বর্ধমান পৌরসভার পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, বাংলার মাটি মনীষীদের মাটি, এই বাংলা আমাদের গর্ব। কিন্তু এখন দেখছি সবাই বলছে জাস্টিস চাই। সবাই যদি জাস্টিস চায়, তাহলে অন্যায় হওয়ার কথা নয়। অন্যদিকে, এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও বলেন, শত অপপ্রচারেও তাঁকে মানুষের মন থেকে মুছিয়ে দেওয়া যাবে না, তাঁকে হারানো যাবে না। অন্যায় হবে, প্রতিবাদ হবে, অবিচার হবে, প্রতিবাদ হবে, অপরাধী হবে তার সাজা হবে। কিন্তু সেটা কেন্দ্র করে পুজোর আগে একটা গোটা রাজ্য জুড়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু মানুষ তাতে সাড়া দেননি। প্রতিবাদী কণ্ঠ থাকুক, আন্দোলন হোক কিন্তু কোনোরকম বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া যাবে না। আমরা সমস্ত স্তরে চেষ্টা করেছিলাম পুজোর সময় সকলে আনন্দ করুক, পুজোয় ফিরুক। অপপ্রচারে আপনারা পা দেননি। ধন্যবাদ সকলকে। এদিন তিনি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি বিশেষ করে লোকশিল্পীদের জন্য রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলিকে উল্লেখ করে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের বিশেষ আয়োজনে শুরু হয়েছে বাংলা মোদের গর্ব এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের বিষয় মেলা, প্রদর্শনী, এক্সপো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সহকারী সভাধিপতি গার্গী নাহা, জেলা শাসক আয়েশা রানি এ., অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিয় কুমার দাস, পুলিশ সুপার সায়ক দাস, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যুগ্ম তথ্য অধিকর্তা মুনমুন হোড় সিনহা, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত, বিধায়ক শম্পা ধাড়া, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ-সহ বিভিন্ন আধিকারিকরাও। এই অনুষ্ঠান চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মণ্ডল জানিয়েছেন, মেলায় ২০ টির বেশী হস্তশিল্প ও বিভিন্ন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর স্টল বসেছে। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের স্টল করা হয়েছে। রয়েছে বিশেষ প্রদর্শনী পশ্চিমবঙ্গ সরকার “উন্নয়নের পথে মানুষের সাথে”। তিনদিন ধরে জেলা ও কলকাতার বিভিন্ন খ্যাতনামা শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। এছাড়াও লোক প্রসার প্রকল্পের শিল্পীরা বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরবেন মঞ্চে। থাকছে বাউল, আদিবাসী নৃত্য, রনপা, রাইবেশে, পুরুলিয়ার নাটুয়া, ঘোড়ানাচ-সহ বিভিন্ন আঙ্গিকের লোকশিল্পীরা। এই তিনদিন সব মিলিয়ে ৬০০ জনের বেশি শিল্পী অংশ নিচ্ছেন।

Exit mobile version