গলসী (পূর্ব বর্ধমান) :- গলসীতে ‘দাবাং’ মুডে দেখা গেলো সাংসদ কীর্তি আজাদকে। মঙ্গলবার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে বেহাল রাস্তার স্টোন চিপস ভরে দিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সাংসদ বলেন, আপনার সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারকে বলবেন এটা দেখতে এবং তিনি এটা নিয়ে কী করবেন সেটা ভাবতে। এটা কি তার চোখে পরেনি?
২ মাসেই রাস্তার হাল বেহাল। মুড়ি-মুড়কির মতো উঠছে রাস্তার স্টোন চিপস। সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে কীর্তি আজাদ রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে সদুত্তর না পেয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে রাস্তা থেকে স্টোন চিপস তুলে সটান ভরে দিলেন তিনি। এরপর ক্ষুব্ধ সাংসদের প্রশ্ন, অভিযোগ পেয়ে একজন সাংসদ আসতে পারেন আর এক্সকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আসতে পারেন না? এখানে ১০০ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে। দিদির সরকার গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করছে, এতো ভালো ভালো প্রকল্প করছে, আর মানুষকে এইভাবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে! আমি জেলাশাসককে চিঠি দেবো এবং এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলবো। একই সাথে ওই সংস্থাকে দিয়েই এই রাস্তা ঠিক করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলবো। জানা গেছে, পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে এই রাস্তাটি জেলাপরিষদ নির্মাণ করে গত মে মাসে। সাংসদের এদিনের এই কড়া অবস্থানে খুশি গ্রামবাসীরা জানান, ৮৩ সালের মতোই ফুল ফর্মে আছেন সাংসদ কীর্তি আজাদ। তাঁর এই কড়া অবস্থানে আমাদের দাবি দ্রুত পূর্ণ হবে বলেই আমরা আশা করছি।
পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদ সূত্রে জানা গেছে, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচিতে গ্রামবাসীদের আবেদনের ভিত্তিতে মনোহর সুজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গলিগ্রাম রেলগেট পর্যন্ত প্রায় ২.২ কিমি এই রাস্তাটি নির্মাণ করে জেলাপরিষদ। যার বরাদ্দ মূল্য ছিল ৯৭ লক্ষ টাকা, ইতোমধ্যেই ৯৩ লক্ষ টাকা ঠিকাদার সংস্থাকে পেমেন্ট করেছে জেলাপরিষদ।