বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- চালানে উল্লেখের চেয়েও দামি কয়লা পাচারে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত বিসিসিএলের কর্মীর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করলেন বর্ধমানের জেলা জজ কেশাং ডোমা ভুটিয়া। গ্রেপ্তার এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন করে বিসিসিএলের কর্মী চন্দ্রিকা প্রসাদ মিস্ত্রি। শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানি হয়। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কথা বলে জামিন চান অভিযুক্তের আইনজীবী। সরকারি আইনজীবী শিবরাম ঘোষাল জামিনের বিরোধিতা করেন। সওয়াল শুনে কয়লা পাচারে কর্মীর জড়িত থাকার বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য মামলার নথিতে আছে বলে উল্লেখ করে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন জেলা বিচারক।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ মে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি থানার দামাগড়িয়া কোলিয়ারির কোল ডাম্প থেকে কয়লা লোড করছিল দু’টি ডাম্পার। চালানে উল্লেখ করা মানের চেয়ে উন্নত মানের দামি কয়লা ডাম্পারে লোড করা হচ্ছে বলে খবর পায় সিআইএসএফ। সিআইএসএফের কমান্ডার প্রদীপ কুমার সেখানে গিয়ে বিষয়টি ধরে ফেলেন। তিনি দেখেন, চালানে ৭ নম্বর মানের কয়লা ডাম্পারে লোড করার কথা রয়েছে। যার মূল্য টন প্রতি ১ হাজার ৯২৬ টাকা। কিন্তু, ডাম্পারে ৬ নম্বর মানের কয়লা লোড করা হচ্ছে। যার মূল্য টন প্রতি ২ হাজার ৩১৭ টাকা। এর ফলে টন প্রতি ৩৯১ টাকা সরকারের ক্ষতি হচ্ছিল। ডাম্পার দুটিতে যথাক্রমে ১৫.০৬০ ও ১৪.৭৫০ মেট্রিক টন কয়লা ছিল। ডাম্পার দু’টিকে বাজেয়াপ্ত করে প্রদীপ কুমার কুলটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, কয়লার এই অবৈধ কারবারে বিসিসিএলের কর্মী চন্দ্রিকা প্রসাদ, পে-লোডার, ডাম্পারের দুই চালক ও একটি পরিবহণ সংস্থার মালিক জড়িত। অভিযোগ পেয়ে পারস্পরিক পরিকল্পনামতে প্রতারণাও চুরির ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস।