খন্ডঘোষ (পূর্ব বর্ধমান) :- ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পাশাপাশি লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধিও। যে বিধিতে সাফ উল্লেখ রয়েছে কোনো রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক প্রচারে কোনো সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে তা আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা হবে। কিন্তু সোমবার সেই বিধিই লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ-এর বিরুদ্ধে। এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ বিধানসভা এলাকা। সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে বাঁকুড়া-মশাগ্রাম লোকাল ট্রেনে চেপে রীতিমতো ভোট প্রচারে করলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। এদিন ট্রেনে উঠে তিনি ঝাল মুড়িও খেলেন। জানা গেছে, সোনামুখী রেল স্টেশন থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে ট্রেনে চাপেন সৌমিত্র। তারপর ট্রেনে উঠে যাত্রীদের মধ্যে ভোট প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। পাশাপাশি কথা বললেন ট্রেন যাত্রীদের সাথেও। প্রত্যেকের কাছে হাতজোড় করে তিনি ভোট চাইলেন। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলে সৌমিত্র খানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাঁকুড়ার সঙ্গে হাওড়ার রেল যোগাযোগের সুবিধা পেয়েছে সাধারণ মানুষ- তাও তুলে ধরেন তিনি। এদিন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর ভরসা রাখতে বলেন। এই রেল যোগাযোগের জন্য সাংসদ হিসেবে তিনি অনেক লড়াই করেছেন বলেও জানান। সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে ছিলেন সোনামুখী বিধানসভার বিধায়ক দিবাকর ঘরামি, ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল কুমার ধারা, যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বিজেপির বর্ধমান জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু সাম, খণ্ডঘোষ পাঁচ নম্বর মণ্ডলের মন্ডল প্রেসিডেন্ট কৌশিক আশ, বিষ্ণপুর সংগঠনের জেলার সাধারণ সম্পাদক শম্পা মাথুর সহ ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য নেতৃত্বরাও। এদিকে, বিজেপি প্রার্থীর সরকারি ট্রেনে চেপে এই প্রচারের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, সৌমিত্র খাঁ সাংসদ ছিলেন। তাই তাঁর নিয়ম কানুন জানা উচিত ছিল। আসলে বিজেপি কোনো নিয়ম নীতিরই ধার ধারে না। আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় তাঁরা অভিযোগ জানাবেন। অন্যদিকে, এব্যাপারে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক বিধানচন্দ্র রায় জানিয়েছেন, ট্রেন বা সরকারি কোনো গাড়িকেই রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না বলে সুনির্দিষ্ট নির্দেশ রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে।