জামালপুর (পূর্ব বর্ধমান) :- হুমায়ুন কবীরের তো জেলে থাকা উচিত। জ্ঞানবন্ত সিং, আলাপন বন্দোপাধ্যায়, রাজীব কুমার এদের তো জেলে থাকা উচিত। এরা বাইরে আছে কেন? ইডি, সিবিআই এবং সিআইডিকে আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই। এরা তো গরু, কয়লা পাচার, রাসায়নিক সার পাচারে যুক্ত। এরা সবাই চোর। কিছু আইপিএস অফিসারের জন্যই তো বাংলার পুলিশের বদনাম। শুক্রবার সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবী-সহ কৃষকদের বিভিন্ন দাবীতে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে নেতাজী ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে এসে এভাবেই আক্রমণ শানালেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এদিন বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা বিজেপির ডাকে কিষাণ মোর্চার এই বিক্ষোভ মিছিলের পর জামালপুর বিডিও অফিসে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। এদিন সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়ার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন সেই ধেড়ে ইঁদুর মানে বাংলার অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। গোটা পরিবারের সবাই চোর। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের শালী, শ্যালক, শ্বশুর সবাই চোর। এদিন তিনি বলেন, ডিসেম্বরে ধেড়ে মাথা মমতা বন্দোপাধ্যায় ধরা পড়তে পারে। অন্যদিকে, সম্প্রতি বর্ধমানে রাইস প্রো-টেক এক্সপোতে এসে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়ে যান, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করার জন্যই সরকারী সহায়ক মূল্যে কোনো ধান কিনছে না। এর উত্তর দিতে গিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ২০২২-২০২৩ আর্থিক বছরে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ৬০ লক্ষ টন ধান কেনার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এফসিআই সেই ধান কিনছে। কিন্তু সমবায় সমিতি গুলি ২০৫০ টাকার বদলে কম দামে ধান কিনছে চাষীদের কাছ থেকে। ধান কেনার কারচুপিতেও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়রা জড়িত বলে এদিন অভিযোগ করেছেন তিনি।