বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সিএএ নিয়ে দেশ জোড়া বিতর্কের মাঝেই এবার সিএএ-এর কয়েকটি পয়েন্টে তাঁর ব্যক্তিগত আপত্তির কথা জানালেন বিজেপি শাসিত আসামের আইন ও বিচার বিভাগের মন্ত্রী রনজিৎ কুমার দাস। তিনি জানান, ২০১৪ সালের সালের ডেট লাইন সম্পর্কে তাঁর আপত্তি আছে। কারণ, বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত বোরো, গাড়ো, রাভা মানুষরা রয়েছেন। তাঁরা আসামেও আছেন। তাঁরাও খিলঞ্জিয়া, আমরা খিলঞ্জিয়া। পলিটিক্যাল ডিমার্কেশন আছে সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু আগে ওনারা আমাদের ভাই। ওনাদের জন্য রাস্তাটা যখন বন্ধ হয়ে গেলো তখন আগামী দিনে তাঁরা বলবেন ওনারাও তো একসময় আসামের বাসিন্দা ছিলেন। পরক্ষণেই তিনি জানান, এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলো আসা যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তাঁরা কোথায় যাবেন?
পাশাপাশি তিনি জানান, ট্রাইবালরা জানাচ্ছেন এই আইনটা রিলাক্সশেসন করতে হবে। আমি শুধু তাঁদের মতামতেরই কথা বলছি। যে আইন হয়েছে তাকে আমি সমর্থন করছি কিন্তু মানুষের মধ্যে এটা প্রশ্ন আছে যদি কোনো দিন বাংলাদেশে খিলঞ্জা সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে কোনো অঘটন ঘটে তাহলে ওনারা কোথায় যাবেন? তাই তারা ডেট লাইন রিলাক্সেশনের দাবি জানাচ্ছেন। ট্রাইবালদের জন্য ডেট রিলাক্সশেসন অবশ্যই দরকার।
শুক্রবার সকালে পূর্ব বর্ধমানে আসেন আসামের পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন, খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ এবং আইন ও বিচার বিভাগের মন্ত্রী রনজিৎ কুমার দাস। এরপর বর্ধমান ১ ব্লকের রায়ানে তিনি জনসম্পর্ক অভিযান করেন।