বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গার জন্য দায়ী সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের এজেণ্ট সহ ৩জন দাবী জয়প্রকাশের
admin
বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার জন্য দায়ী তৃণমূল, বিজেপি নয়। এব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাঁদের কাছে – বৃহস্পতিবার বর্ধমানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ভোট গণনা নিয়ে বিশেষ বৈঠকে এসে একথা বলে গেলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা তথা বিধায়ক জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ ৮টি লোকসভার দলীয় নেতৃত্ব এবং নির্বাচনী এজেণ্টরাও। বিশেষ এই বৈঠকে হাজির ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের পুর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভুম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলার নির্বাচনী দলীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। জয়প্রকাশবাবু জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা সম্পর্কে তাঁদের দলের যাঁরা গণনা কেন্দ্রে অংশ নেবেন তাঁদের সেই বিষয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এদিন। এখান থেকে প্রশিক্ষণের পর তাঁরা নিজের নিজের লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে অন্যান্য এজেণ্টদের তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। তিনি জানান, ভোট গণনার দিন দলের এজেণ্টদের কি কি ভুমিকা পালন করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা কি তা সবিস্তারে জানানো হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে। অন্যদিকে, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙা নিয়ে জয়প্রকাশবাবুকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি সরাসরি কলকাতা পুলিশ কমিশনারের একটি রিপোর্ট উল্লেখ করে সাফ জানান, বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙার গোটা ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। তিনি দাবী করেছেন, অমিত শাহ-এর রোড শো-এর অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন। এব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব ছিল রাজ্য সরকারের। জয়প্রকাশবাবু এদিন দাবী করেছেন, তৃণমুল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের এজেণ্ট অভিষেক মিশ্র এবং তাঁর দুই সাগরেদ চিনু এবং হাপার এই মূর্তি ভাঙার জন্য দায়ী। জয়প্রকাশবাবু এদিন দাবী করেছেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অব্যবহিত পরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার নবান্নে একটি রিপোর্ট পাঠান। সেই রিপোর্টেই তিনি এই ঘটনার পিছনে এই তিনজনের নাম জড়িত থাকার কথা বলেন বলে দাবী করেছেন জয়প্রকাশবাবু। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনারের এই রিপোর্ট পাবার পর খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে প্রকাশ্যে ভত্সর্না করেন। পাশাপাশি তিনি এদিন দাবী করেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তির সামনে ও পিছনে রয়েছে সিসিটিভি। কেন এই ঘটনার পর এখনো সি সি টি ভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হল না সেই অভিযোগও তুলেছেন জয়প্রকাশ। মুর্তি ভাঙার আসল রহস্য ভেদ করতে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে নিয়ে আসারও দাবী জানান তিনি। জয়প্রকাশবাবু এদিন জানিয়েছেন, যতবারই কেন্দ্র সরকার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ততবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফুঁসে উঠেছে্ন। ততবারই মুখ্যমন্ত্রী দাবী করেছেন, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তাহলে কেন দুপুর থেকে বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে কালোপতাকা নিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভকারীরা হাজির থাকলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নিল না – প্রশ্ন তুলেছেন এদিন জয়প্রকাশ। তিনি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। গোটা বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত তদন্তেরও দাবী করেছেন তিনি। অন্যদিকে, বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙার ঘটনা সহ অত্রি ভট্টাচার্য এবং রাজীব কুমারকে দিল্লী পাঠানোর ঘটনায় শেষ দফার নির্বাচনে তার কোনো বিরুপ প্রভাব বিজেপির ওপর পড়বে না বলে এদিন মন্তব্য করেছেন জয়প্রকাশ বাবু।