E Purba Bardhaman

বিজেপি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থারই পরিবর্তন চায় – দিলীপ ঘোষ

BJP state president Dilip Ghosh attended the 2nd district conference of the BJP Teachers' Cell. At Burdwan Town Hall

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারী যে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন ছিল তা দেওয়া হচ্ছে না। আর তাই সাম্প্রতিককালে শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে বিভিন্ন দাবীদাওয়া আদায়ের জন্য। সোমবার বিজেপির শিক্ষা সেলের উদ্যোগে বর্ধমান টাউন হলে আয়োজিত দ্বিতীয় জেলা সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এদিন বলেন, শিক্ষকরা নতুন প্রজন্মকে তৈরী করেন। শিক্ষক মানে কেবল কর্মচারী নয়। তিনি আচার্যও। এটাই ভারতবর্ষের পরম্পরা। শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানের আলো খুলে দেয়। কিন্তু এখন শিক্ষা, চিকিত্সা কেবল টাকা রোজগারের কেন্দ্র হয়ে উঠছে। অনেকেই যাঁরা লেখাপড়াই শেখেনি তাঁরা শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করছেন। কিন্তু শিক্ষকদেরও বুঝতে হবে তাঁদের যে দায়িত্ব সেটা তারা পালন না করলে তার দায় তাঁদেরই। কেবল নিজের দিকটাই দেখলে হবে না। তাঁদের দায়বদ্ধতাও থাকা দরকার। এজন্য সরকারের উচিত শিক্ষকদের দায়দায়িত্ব বহন করা। কিন্তু রাজ্য সরকার তা করছেন না। অন্যান্য পেশার মতই শিক্ষা ক্ষেত্রেও অব্যবস্থা চলছে। সব বিভাগেই আন্দোলন চলছে। কেউ খুশী নয়। দাড়িভিটে বাংলার শিক্ষক চেয়েছিলেন ছাত্ররা। চলল গুলি। দরকার ছিল বাংলা শিক্ষকের। পাঠানো হল উর্দু শিক্ষককে। কারণ, নেতারা চাকরি দেবার নামে টাকা নিয়েছেন। তাই কোথায় কি দরকার তা না জেনেই পোষ্টিং করে দিচ্ছে। পুরুলিয়ার এক শিক্ষককে গাঁজা কেসে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশরাও মিথ্যা কেস দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। তাঁরাও তাঁকে বলছেন যত তাড়াতাড়ি পারেন পাল্টে দিন সরকার। তাই পশ্চিমবাংলায় দরকার প্রথম রাজনৈতিক পরিবর্তন। বিজেপি চায় শিক্ষার আমূল সংস্কার। ছাত্র শিক্ষক কেউই আজ সুরক্ষিত নয়। তিনি জানান, অনেক আশা নিয়ে বাংলার মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিল। কিন্তু আজ বাংলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য সমস্ত ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটে চলেছে তার পরিবর্তনও জরুরী। তিনি এদিন বলেন, আসন্ন ৩টি উপনির্বাচনও বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। আর এই জয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও একটা ভাল ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন। এদিন তাঁর সঙ্গে এই মঞ্চে হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, বিজেপি শিক্ষা সেল বর্ধমান সদর জোনের আহ্বায়ক রাধাকান্ত রায়, সব্যসাচী দত্ত প্রমুখরাও।

Exit mobile version