বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিদেশী গরুরু দাপটে দেশী গরুর জাত শেষ হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গীর প্রজাতির গরু পোষার প্রভাব বাড়ছে। দুধও বেশি। তার মধ্যে ঔষধি গুণ রয়েছে। কিন্তু অনেকেই বিদেশী গরু পুষছেন। কিন্তু আমাদের দেবতারা বিদেশী জিনিস পছন্দ করেন না। কিন্তু অনেকেই ইংরাজী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিদেশী জিনিস পছন্দ করেন। ইংরাজী বউও পছন্দ করেন। অনেক নেতাও বিদেশী স্ত্রী নিয়ে এসেছেন। তারপরেই গোলমাল শুরু হয়েছে। তার ফলে অনেক নেতাদের জেলেও যেতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সমাজকে বিকৃত করবেন না। দেশী গরু পালন করুন। গো-পূজন কেবল পূজো নয়, গরু আমাদের পরিবারের সম্পদ। কিন্তু গরুরু প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরী করা হচ্ছে। কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরুর মাংস খাচ্ছে অনেকেই। কে কি খাবেন তা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু তাঁরা বাড়িতে গিয়ে খেতে পারেন। রাস্তায় কেন? যার মা মারা যায় সেও গরুর দুধ খেয়ে বেঁচে থাকে। কিন্তু গরুকে হত্যা করা, তার মাংস খাওয়াকে সমাজবিরোধী কাজ হিসাবেই আমরা দেখি। সেটাই দেখা উচিত। সোমবার বর্ধমান টাউন হলে রাজ্য ঘোষ ও গাভী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে গোপাষ্টমী ও মহোত্সবের দ্বিতীয় দিনে গোমাতাদের পুজো অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এভাবে গরু নিয়ে বিজেপির লক্ষ্যের কথা জানিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ।