বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আগামী ১৩ মে বর্ধমানে ভোট। আর ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে বর্ধমানে এক বিজেপি কর্মীকে মেরে হাত ভেঙে দেবার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিজেপি ব্যাপক শুরু চড়িয়েছে। আর এরই মাঝে জামালপুরে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা-সহ আহত হলেন ৩ জন। মারপিটের সময় এক তৃণমূল কর্মীর হাতের আঙুল বিজেপির এক নেতা কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পালটা বিজেপির পক্ষ থেকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ তুলে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জামালপুরের জৌগ্রাম বাদপুর এলাকায় এই অশান্তিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জৌগ্রামের বাদপুর এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে ভোট প্রচারে বের হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এক তৃণমূলের কর্মীর বাড়িতে প্রচারে গিয়ে বচসা শুরু হতেই তৃণমূলের কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ বিজেপির। পঞ্চায়েত সদস্যা-সহ তার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বাদপুর এলাকাতেই। আহতরা হলেন জামালপুর বিধানসভা এলাকার বিজেপির ২ নম্বর মণ্ডল তথা জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা জবা মির্ধা ও তার স্বামী কার্তিক মির্ধা। রাতেই জামালপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য বিজেপির সদস্যা ও তার স্বামীকে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতরা জামালপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার পর জামালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। অন্যদিকে, জখম তৃণমূল কর্মীর নাম বাবাই মিস্ত্রি। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোট চাইতে বিজেপির কর্মীরা আসার পর থেকেই খারাপ ভাষা ব্যবহার করে। সেই বচসা থেকে হাতাহাতিতে পৌঁছালে হঠাৎই বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা জবা মির্ধার স্বামী কার্তিক মির্ধা তৃণমূলের কর্মী বাবাই মিস্ত্রির আঙুল কামড়ে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত বাবাই মিস্ত্রিকে জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিনিও পালটা জামালপুর থানার অভিযোগ দায়ের করেন। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’টি মামলা রুজু হয়েছে। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ও এক তৃণমূল কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তে সহযোগিতার শর্তে ধৃত তৃণমূল কর্মীর জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৪ মে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন বিচারক।