E Purba Bardhaman

যে যা বলবে আর চুপ করে থাকবে ঐদিন চলে গেছে, বিজেপি পুরোপুরি জবাব দেবে – দিলীপ ঘোষ

BJP will respond fully - Dilip Ghosh

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আমরা চুপ করে বসে থাকতে আসিনি। যে যা বলবে আর চুপ করে থাকবে ঐদিন চলে গেছে। বিজেপি পুরোপুরি জবাব দেবে। শুক্রবার ফের হুমকি দিলেন বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সকালে বর্ধমানের ডিভিসি মাঠে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে এভাবেই হুংকার দিলেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে বিজেপি হুঁশিয়ারি দিয়েছে চ্যালাকাঠ নিয়ে থাকবে বলে। এই প্রসঙ্গেই দিলীপবাবু বলেন, বিজেপির কিছু লাগে না ভোটই অস্ত্র, মানুষ ওটা দেবে আমাদেরকে,ওই ভাবেই হারাবো সবাইকে। ওদিক থেকে বলছে, উত্তর তো দিতে হবেই। যে যা ভাষা বোঝে। চ্যালাকাঠ কেন গোটা কাঠও দেবো। আমরা চুপ করে বসে থাকতে আসিনি। যে যা বলবে আর চুপ করে থাকবে ঐদিন চলে গেছে। বিজেপি পুরোপুরি জবাব দেবে। রেড রোডে নামাজ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার যে বার্তা দিয়েছেন সে সম্পর্কে দিলীপবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নামাজ পড়ে বলছেন দাঙ্গা করবেন না, দাঙ্গা হতে দেবেন না। তার মানে মুসলমানরা দাঙ্গা করে নাকি? মুসলমানরা দাঙ্গাবাজ? মুখমন্ত্রী কেন বারবার মুসলমানদের ভয় দেখান দাঙ্গা করবেন না? আমি তো গিয়েছিলাম ইদে। আমি তো দাঙ্গার কথা বলিনি। সম্প্রীতির কথা বলেছি। বলেছি আসুন সবাই মিলেমিশে ভালো করে থাকি। মুসলমানদের দেখলে মমতা ব্যানার্জির দাঙ্গার কথা মনে পড়ে। দিলীপবাবু এদিন বলেন, গতবার রামনবমীতে তাই হয়েছিল। রামনবমী এলেই দাঙ্গা আসে। মমতা ব্যানার্জির মাথায় দাঙ্গা, হিংসা আর দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু নেই। বিজেপি সম্প্রীতি আর গণতন্ত্র দিয়েই সব ঠিক করবে। তিনি বলেন, এবার রামনবমী চারদিন ধরে হবে। প্রশাসনকে বলতে চাইছি বিনা কারণে দিদিমনির মতো কেউ ঝামেলা করবেন না। আজকে হিন্দু সমাজ জেগে গেছে, রাম মন্দির হয়ে গেছে, চারটে পুলিশ পাঠিয়ে চমকাবেন না, বা দু’চারটে দাঙ্গাবাজকে পাঠাবেন না। হিন্দু সমাজ কিন্তু জবাব দেবে। রাম মন্দির যখন প্রতিষ্ঠা করেছে দুনিয়া মেনে নিয়েছে। শাহজাহান সম্পর্কে তিনি বলেন, টিএমসি ওকে ফাঁসিয়েছে, ওকে ইউজ করেছে, টাকা তুলেছে, ভোট করিয়েছে। বাঁচার চেষ্টা করল দুমাস। এবার ছেড়ে দিয়েছে। ও কি করবে? ওকে ইউজ করে শেষ করে দেওয়া হল, ও জানে সারা জীবন আর বেরোবে না, তো সিবিআই ইনকোয়ারি হলে ও একা কেন দোষী হবে? যারা যারা সব যুক্ত তারা সব ধরা পরবে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রথম এফআইআর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তদন্ত হয়ে গেছে, তথ্য এসে গেছে, এফআইআর হওয়া উচিত এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে, মানুষ এতদিন অত্যাচার সহ্য করেছে, লুঠ দেখেছে, শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া যদি লম্বা হয়, মানুষের বিশ্বাস ভেঙ্গে যাবে। আমার মনে হয় ঠিক সময় সাজা পেয়ে যাবে ওরা। জিটিএ কর্তা বিনয় তামাং-এর নামে এফআইআর সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের এফআইআর তখন নেয়নি। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, চাকা ঘুরছে, সবাইকে হিসাব দিতে হবে, যারা ওখানে হিংসা করেছে, মারপিট করেছে, লোককে খেপিয়েছে, সবকিছু বিচার হবে। উত্তরবঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ওনারা যদি না বলে দিয়ে দিতেন কেউ আটকাত না। ওরা রাজনীতি করতে গিয়েছেন, ভোট কিনতে চাইছেন, তখন ইলেকশন কমিশন বিরোধিতা করেছে, আমরাও বিরোধিতা করবো। সরকারের দায়িত্ব ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া কিন্তু মুশকিল হল যখন ভুল করে টাকাটা টিএমসি নেতাদের অ্যাকাউন্টে চলে যায়। সেই সম্ভাবনা আছে বলেই আমরা চিন্তা করছি। এদিকে, এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেড়়িয়ে এলাকায় ফ্ল্যাগ ও দেওয়াল লেখন নেই দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিলীপবাবু। জেলা সভাপতি অভিজিত তাকে তিনি বলেন, একটা ঝাণ্ডা নেই, একটা দেওয়াল লিখন নেই, ওই রাস্তা থেকে এলাম একটাও নেই। উত্তরে জেলা সভাপতি বলেন, দেওয়াল লিখনগুলো মুছে দিয়েছে। পাল্টা দিলীপবাবু বলেন, এলাকায় যে বুথ আছে, ওয়ার্ড আছে তাদেরকে বলুন। সভাপতি বলেন, দেখছি যে কটা দেওয়াল আছে লিখিয়ে দিচ্ছি। দিলীপবাবু বলেন, যেমন বড় রাস্তার জায়গাটায় কিচ্ছু নেই, টিএমসির লোকেরা খুলে ফেলে দিচ্ছে আপনারা কি করছেন? অজুহাত দেখালে হবে? ওরা রাজনীতি কিছু বোঝেনা, ওসব ফাঁকিবাজ। এদিন বর্ধমান ২ ব্লকের রামাইপুরে প্রচারে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, ভারতের যেখানে বিস্ফোরণ হয় তার সঙ্গে যোগ থাকে পশ্চিমবঙ্গের। অনুপ্রবেশকারীরা এখানে আসে, রোহিঙ্গারা এখানে আসে, আধার কার্ড বানায় রেশন কার্ড পরিচয়পত্র নিয়ে সারা দেশে চলে যায় চক্রান্ত করে। বাংলাদেশও বলেছে, এখানকার লোকেরা ওখানে গিয়ে উৎপাত করে। কেন বারবার পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঙুল উঠবে। বাঙালিদের দেশদ্রোহী করার জন্য কারা চক্রান্ত করছে। এখানকার সরকার কেন দেখে না। এই যে দুর্বলতা তার উদাহরণ হল শাজাহান শেখ। নারী পাচার, গরু পাচার, ড্রাগ পাচার, ফেক কারেন্সি পাচার, সরকারি পয়সা লুট করা এইসব কাজ করেও তাকে ২ মাস ধরে আড়াল করে সরকার। তারপর সে ধরা পড়েছে।

Exit mobile version