গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বুধবার বনধের দিন বর্ধমান শহরের বীরহাটা এলাকায় রাস্তা অবরোধ, বাস থেকে জোর করে যাত্রী নামানো এবং পুলিসকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিজেপির দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম শ্যামল কুমার রায় ও রাজু পাত্র। শহরের ছোটনীলপুরের পিরতলায় বিজেপির বর্ধমান জেলার যুবমোর্চার সভাপতি শ্যামল রায়ের বাড়ি। শহরেরই বড়নীলপুরে রাজুর বাড়ি। পুলিস জানিয়েছে, এদিন সকালে বীরহাটা এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বাস থেকে জোর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিসকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে শ্যামল ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে। এদিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের হয়ে আইনজীবী কমল দত্ত জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ইসলামপুরে পুলিসের গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে বনধ ডাকা হয়েছে। বনধের সমর্থনে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নামেন। তৃণমূলের প্ররোচনায় পুলিস বিজেপির লোকজনকে ধরেছে। সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভূঁইঞা জামিনের বিরোধিতা করেন। সরকারি আইনজীবী বলেন, বনধ সমর্থকরা পুলিসকে কাজে বাধা দিয়েছে। পুলিসের উপর হামলা চালিয়েছে। মামলায় দু’টি জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে। সওয়াল শুনে ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা।