বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কামনাড়া রেল স্টেশনের কাছে বিডিএ-র সাথে পিপিপি মডেলে তৈরি ‘উপান্তিকা’ মিনি টাউনশিপে বুকিং প্রক্রিয়া শুরু করল বিপি পোদ্দার গ্রুপ। শনিবার থেকে শুরু হলো বুকিং প্রক্রিয়া। এই উপলক্ষ্যে প্রজেক্ট এরিয়ায় আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত, ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হোক, বিপি পোদ্দার গ্রুপের গ্রুপ চেয়ারম্যান অরুণ পোদ্দার, এমডি আয়ুষ পোদ্দার, সিইও নারান আগরওয়াল এবং প্রজেক্টের বর্ধমানের দায়িত্বে থাকা প্রদীপ ঘোষ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অরুণ পোদ্দার জানিয়েছেন, বর্ধমান ১ ব্লকের কামনাড়া এলাকায় ৭৭ একর জমি নিয়া তাঁরা বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার সাথে পিপিপি মডেলে এই প্রজেক্ট শুরু করেন। এর প্রাথমিক পর্বে ৩৯ একরে কাজের সমস্ত রকম অনুমোদন পাওয়া গেছে। ৩৯ একরের মধ্যে ২৭ একর জমিতে ইতোমধ্যেই কাজ প্রায় শেষের মুখে। প্রথম ফেজের এই কাজে ৯৬ টি ২ বিএইচকে এবং ৩২ টি ১ বিএইচকে ফ্ল্যাট রেডি হয়েছে। শনিবার থেকে এই ফ্যাটগুলির বুকিং প্রক্রিয়া শুরু হলো। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন আগামী নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই প্রথম পর্বের তৈরি হওয়া এই ফ্ল্যাটগুলি ক্রেতাদের মধ্যে তাঁরা হস্তান্তর করতে পারবেন। তারপরই বাকি প্রজেক্ট এলাকার কাজ শুরু হবে। ৭৭ একর জমিতে সাড়ে ৮ লক্ষ স্কয়ার ফিট এলাকা জুড়ে হবে নির্মাণকাজ। ৬০ শতাংশ ওপেন স্পেস থাকবে বলে জানিয়েছেন অরুণ পোদ্দার।
আয়ুষ পোদ্দার জানিয়েছেন, ৯৯ বছরের লিজে উপান্তিকার ২ বিএইচকে ফ্ল্যাটের (৭০৬ স্কয়ার ফিট) জন্য খরচ পড়বে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা, ১ বিএইচকে ফ্যাটের (৩৯৫ স্কয়ার ফিট) পড়বে ১২ লক্ষ টাকা। প্রজেক্ট এরিয়ায় স্কুল, শপিং কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়ুষ পোদ্দার।
বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক জানিয়েছেন, বর্ধমানের র্যাপিড গ্রোথ হচ্ছে। কিন্তু সেটা যাতে মাশরুম গ্রোথ না হয় সেজন্য বিডিএ-র উদ্যোগে খড়গপুর আইআইটি-কে দিয়ে প্ল্যানিং করান হয়। খড়গপুর আইআইটির পরামর্শ বর্ধমান শহরকে ঘিরে চারটে স্যাটেলাইট টাউনশিপ করার। ২০০২ সালে বিডিএ তৈরি হয়। তার আগেই ২০০১ সালে জেলাপরিষদের উদ্যোগে উল্লাস উপনগরী তৈরি হয়েছে। বিডিএ তৈরির পর খড়গপুর আইআইটির পরামর্শ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে ২ টো স্যাটেলাইট টাউনশিপ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার একটা রেনেসাঁ টাউনশিপ। আর নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তদেরর জন্য কামনাড়ায় এই ‘উপান্তিকা’ মিনি টাউনশিপ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই উপান্তিকা উপনগরী তৈরির কাজ দীর্ঘ বছর আটকে থাকার বিষয়ে আইনুল হক জানিয়েছেন, কিছু সমস্যা ছিল, তাই দেরি হয়েছে। সমস্যাগুলো কাটানো গেছে। শুধু এই প্রজেক্টেই নয় বিডিএ-র আরও কিছু প্রজেক্টে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সেগুলো কাটিয়ে তোলার জন্য তাঁরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। সফলতা আসাও শুরু হয়েছে। আইনুল হক বলেন, অনেক মানুষই আছেন যারা পরিকল্পিত টাউনশিপে থাকতে চান। তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের উপনগরী খুবই উপযোগী বলে জানান তিনি। আর যেখানে সরকার বা সরকারি স্বশাসিত সংস্থা মাঝে থাকে সেখানে পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা অনেক বেশি থাকে বলে জানান তিনি।