চৈতন্যদেবের কোন উত্তরাধিকারী বাংলায় থাকলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – ব্রাত্য বসু
admin
পূর্বস্থলী (পূর্ব বর্ধমান) :- বাংলা ও বাঙালিকে ভালোবাসা, সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা ও সকলকে একসাথে নিয়ে চলার চৈতন্য মহাপ্রভুর যে আদর্শ, সেই আদর্শের একমাত্র উত্তরসূরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ও বাঙালিকে রক্ষা ও তাদের ভালো রাখার কোনো মানসিকতা বা মাথা ব্যথা আর অন্য কারও নেই। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের উদ্যোগে আয়োজিত ২৩ তম ‘খাল-বিল-চুনো মাছ, পিঠে পুলি ও প্রাণী পালন উৎসব’-এর দ্বিতীয় দিনে যোগ দিয়ে একথা বলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, চৈতন্যদেবের কোনও উত্তরাধিকারী বাংলায় যদি থেকে থাকেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চৈতন্যদেব সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেছেন, চৈতন্যদেব কোনদিনও বিভাজনের রাজনীতি করেন নি, চৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী যদি বাংলায় কেউ থেকে থাকেন তাহলে সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, স্বপন দেবনাথ পরিবেশ রক্ষার যে মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন তা নিতে পেরেছেন তার কারণ তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মতো একজন পরিবেশ ও সংস্কৃতি সচেতন মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাবিনেটের সদস্য বলে। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধ চলছে। প্রতিনিয়ত মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে পরিবেশও ধ্বংস হচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে স্বপন দার এই পরিবেশ রক্ষার লড়াই সত্যিই তারিফযোগ্য। স্বপন দেবনাথ একটা ভালো কাজ করেছেন। তিনি প্রকৃতির সাথে উৎসব, সংস্কৃতি ও গার্হস্থ্যজীবনকে মিলিয়ে দিতে পেরেছেন। পুরাণে বর্ণিত চাঁদের বিল ও বাঁশদহ বিলকে নিয়ে যে কর্মযজ্ঞ তিনি শুরু করেছেন তার ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষিত হচ্ছে ঠিক তেমনই মৎস্যজীবী পরিবারগুলির জীবনজীবিকাও রক্ষিত হচ্ছে। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতারও সূচনা করেন। একই সাথে এদিন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের জন্মদিন থাকায় তিনিই তাঁকে কেক কেটে খাওয়ান। এদিন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুনীল মন্ডল, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক-সহ অন্যান্যরা।