E Purba Bardhaman

শালীকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার ভগ্নীপতি

Brother-in-law arrested for murdering sister-in-law. One dead, four injured. At Chandul village

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- স্ত্র্রীর সঙ্গে বিরোধ মেটাতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের এলোপাথাড়ি কোপালো জামাই। ঘটনায় গুরুতর জখম শ্বশুরবাড়ির ৪জন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জামাইয়ের হাতে খুন হলেন শ্যালিকা। বর্ধমানের চাণ্ডুল এলাকার জেমুপাড় এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে মনসা পুজোয় স্ত্রী রীনা সোনি সহ এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে গেছিলেন কৈলাশ সোনি। পুজোর অনুষ্ঠান শেষে স্ত্রীকে বাড়ি ফিরে যেতে বললে তাতে রাজী হননি রীনা। তার ইচ্ছা ছিল ঝাঁকলাই গান শোনার পরই সে বাড়ি ফিরবে। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা এবং ছেলে মেয়েকে নিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন বর্ধমানের চান্ডুল গ্রামের ক্যানেল বাঁধের বাসিন্দা কৈলাশ। বাড়ি ফিরে যথারীতি দরজা বন্ধ করে শুয়েও পড়েন। এরপর রাত্রে রীনাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে আসেন রীনার মেজদিদি নমিতা মাঝি (৩৫), জামাইবাবু কালাচাঁদ মাঝি, বড়দিদি মমতা মাঝি, পিসির ছেলে শম্ভু রায়। শুরু হয় ডাকাডাকি। কিন্তু কিছুতেই দরজা খুলতে রাজী হননি কৈলাশ। পরে আচমকাই দরজা খুলে ধারালো অস্ত্র বিয়ে বেড়িয়ে আসেন কৈলাশ। অভিযোগ, এরপরই এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের। এরপরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক নমিতা মাঝিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কালাচাঁদ মাঝিকে কলকাতার পিজিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্ধমান হাসপাতালে গুরুতর আহত মতো মমতা মাঝির চিকিৎসা চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শম্ভু রায়ের অভিযোগে পুলিশ বর্ধমান সিউড়ি রোডের একটি ধাবা থেকে কৈলাশ সোনিকে গ্রেপ্তার করেছে।

Exit mobile version