E Purba Bardhaman

গলসি থানায় অভিযুক্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু, বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল বর্ধমানের সিজেএম আদালত

Burdwan CJM court ordered a judicial investigation into the unusual death of an accused in Galsi police station.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গলসি থানায় অভিযুক্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল বর্ধমানের সিজেএম আদালত। বর্ধমান থানার তরফে ঘটনার কথা জানিয়ে আদালতে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। ঘটনার বিষয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানা। বৃহস্পতিবার পুলিসি ঘেরাটোপে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিস মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না মেলা পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি পুলিস। মৃতের নাম হীরা মোল্লা (৪৭)। গলসি থানার দয়ালপুরে তাঁর বাড়ি।
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দয়ালপুরের ববি বেগম ৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ করে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা নিয়ে গলসি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, দুর্ঘটনার জন্য ছেলেকে দায়ী করে তাঁদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তাঁর স্বামীকে অপমানসূচক মন্তব্য করা হয়। তার জেরে তাঁর স্বামী রমজান শেখ (৪০) কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন। মঙ্গলবার তিনি কীটনাশক খান। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। অভিযোগ পেয়ে পুলিস অপহরণ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ও তোলাবাজির ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। ঘটনায় হীরার নাম জড়ায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তিনি থানার ভিজিটার্স রুমে অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে নবাবহাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি হাসপাতালের তরফে বর্ধমান থানায় জানানো হয়।

Exit mobile version