বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- উন্নয়ন মানে কেবলমাত্র শহরের সৌন্দর্য্যায়ন নয়। এমনকি কেবলমাত্র শহরের উন্নয়নও নয়। বৃহস্পতিবার বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার ডাকে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলী তা গুপ্ত এবং ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক। সম্প্রতি বর্ধমান পৌরসভার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিডিএ বা বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা উন্নয়নের কাজ করছে না। এদিন তার উত্তর দিতে গিয়েই রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন বিডিএ-র কর্মকর্তারা। বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলী তা গুপ্ত জানিয়েছেন, প্রায় ২ বছর আগে মাত্র ২ লক্ষ টাকা যেখানে ছিল ওন ফান্ড গত ২ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকারও বেশি। তিনি জানিয়েছেন, এই সময়কালে বিডিএ-র এলাকা যা বৃহত্তর বর্ধমান বলে পরিচিত সেই গ্রামীণ এলাকায় তাঁরা রাস্তা, ড্রেন তৈরির ওপর বেশি জোড় দিয়েছেন। রাজ্যের আরবান ডেভলপমেণ্টের গাইড অনুযায়ী শহরের সৌন্দর্য্যায়নের জন্য অর্থ খরচ করা যাবে না। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে তাঁরা একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। যার মধ্যে গোদায় মাদার ও চাইল্ড হাব তৈরি, উল্লাসের কাছে এবং দেওয়ানদিঘী এলাকাতেও তাঁরা নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। উল্লাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিডিএ-র জমিতে তৈরি হয়েছে নতুন ব্যাঙ্কোয়েট অনুষ্ঠানবাড়ি ‘রোশনাই’, খুব শীঘ্রই তা চালু হতে চলেছে। এছাড়াও কার্জন গেটের সামনে ‘হ্যাং আউট’ নামে একটি আধুনিক কফি হাউস এবং একইসঙ্গে ফুড প্লাজাও তৈরি করা হয়েছে। এই সমস্ত জায়গা থেকে বিডিএ-এর আয় বাড়বে। আইনুলবাবু জানিয়েছেন, গোদায় মাদার ও চাইল্ড হাবের কাজ বিডিএ নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি করবে। এই এলাকায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চালুরও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বর্ধমান পুর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডে বিডিএ-র একটি প্রকল্পের ফলক কে বা কারা ভেঙে দেয়। সে সম্পর্কে এদিন চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, দুষ্কৃতিদের এই কাজের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, এদিন ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক সাফ জানিয়েছেন, বর্ধমানের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে গেলে বর্ধমানের বাইরের লোককে বর্ধমানে আসতে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ক্রিশক্রশ বাস পরিষেবার পক্ষেও জোড়ালো সওয়াল করেছেন তিনি।