E Purba Bardhaman

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি মিটতেই ছন্দে ফিরতে শুরু করল বর্ধমান হাসপাতাল

Woman's Disease and Maternity department - Burdwan Medical College & Hospital

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সোমবার বিকালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির আন্দোলন মিটতেই অত্যন্ত ধীরপায়ে ছন্দে ফিরতে শুরু করল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যেহেতু গত ৭দিন ধরে রোগীরা এসে ফিরে গেছেনতাই এদিনই তাঁরা অনেকেই হাসপাতালমুখী হননি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগআউটডোর সমস্ত কিছুই খুললেও অন্যান্যদিনের মত রোগীর দেখা মেলেনি। যদিও হাসপাতালে চিকিত্সা দেবার জন্য সমস্ত জুনিয়র ডাক্তারহাউস স্টাফইন্টার্ণসিনিয়র ডাক্তার এবং ফ্যাকাল্টি সদস্যরা হাজির ছিলেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাউত্পল দাঁ জানিয়েছেনএদিন আউটডোরে মাত্র ১২৬০জন রোগী এসেছিলেন। সবমিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেনমাত্র ২৬৯ জন রোগী। উল্লেখ্যযেহেতু বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর আশপাশের বাঁকুড়াবীরভূমমুর্শিদাবাদপুরুলিয়ানদীয়া ছাড়াও দুই বর্ধমান জেলার মানুষ নির্ভরশীল তাই প্রতিদিন আউটডোরেই রোগীর সংখ্যা হয় প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি। সেই তুলনায় এদিন মাত্র ১২৬০জন রোগী আসায় স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে ডাক্তারদের আন্দোলনের রেশ এখনও কাটেনি। কি হবে কি হবে না – সেই দোলাচলে পড়েই যে এদিন রোগীরা আসেননি সেটা স্বীকার করেছেন এদিন হাসপাতালের কর্মীরা। যদিও যে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে হাসপাতালে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় সেই জুনিয়র ডাক্তারদের এদিন দেখা গেছে অন্য ভূমিকায়। রীতিমত আন্তরিক ভাবেই তাঁরা এই কয়দিনের রোগীদের ভোগান্তি দূর করতে সরাসরি হাসপাতালের রাস্তায় নেমে রোগীদের ডেকে ডেকে জানিয়েছেনচিকিত্সার কোনো অভাব হবে না। কেউ বিনা চিকিত্সায় বাড়ি ফিরে যাবেন না। বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে না পারা বর্ধমানের চাণ্ডুল গ্রামের বাসিন্দা হৃদরোগী টিয়া পোড়েল জানিয়েছেনএমনিতেই তিনি হৃদরোগী। কিন্ত আদপেই তিনি ডাক্তার দেখাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু এদিন যেভাবে হাসপাতালে তার চিকিত্সা হয়েছে তাতে তিনি খুশী। বর্ধমানের দেওয়ানদিঘীর বাসিন্দা ১ বছরের রীণা পণ্ডিতকে নিয়ে তার দাদু সুবল পণ্ডিত এসেছিলেন ডাক্তার দেখাতে। তিনিও এদিন সন্তোষ প্রকাশ করে যান।

Exit mobile version