গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল বর্ধমান থানা। বৃদ্ধার মেডিকেল রিপোর্ট মেলার পর ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিস। মেডিকেল রিপোর্টে বৃদ্ধার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, কোথায় এবং কখন ঘটনাটি ঘটেছে সে ব্যাপারে অন্ধকারে পুলিস। এদিকে শনিবার সকালে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের প্রতিবাদে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনার ধিক্কার জানিয়ে স্টেশন এলাকায় পোস্টারও সাঁটানো হয়েছে। বৃদ্ধাকে ধর্ষণে জড়িতকে গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ অমিতাভ সাহা বলেন, বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে, বৃদ্ধার শরীরে যৌন নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তার অস্ত্রপচার হয়েছে। তাকে ২ ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়েছে। হার্টের অবস্থা জানতে ইকো-কার্ডিওগ্রাফি করানো হয়েছে। বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিস সুপার (সদর) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, বৃদ্ধাকে চা খাওয়ানোর নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এখনও বৃদ্ধার সঙ্গে পুলিসের কথা হয়নি। বৃদ্ধা সুস্থ হলে তার সঙ্গে কথা বলা হবে। তখন ধর্ষণে জড়িতের সম্পর্কে তার কাছে জানার চেষ্টা করা হবে। মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পরই মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃদ্ধা শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বেশ কিছুক্ষণ পড়েছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখে কয়েকজন সাংবাদিক উদ্যোগী হয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে বৃদ্ধা বলেন, ঘটনার দিন ভোরে তিনি স্টেশনের বাইরে একটি মিষ্টির দোকানের সিঁড়িতে শুয়েছিলেন। সেই সময় একজন এসে তাকে চা খাওয়ানোর নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বেশ কিছুক্ষণ তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। একজন টোটো করে তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে যান। বৃদ্ধার বাড়ি হুগলির পাণ্ডুয়ায়। তিনি ট্রেনে ভিক্ষা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনে ভিক্ষা করার পর তিনি স্টেশনের বাইরে শুয়েছিলেন। রেলপুলিস অবশ্য স্টেশন এলাকায় বৃদ্ধাকে ধর্ষণের কথা মানতে চায়নি। যদিও বৃদ্ধা এদিনও দাবি করেছেন, স্টেশন এলাকাতেই তার উপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে।