বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বড়দিনের পর নতুন ইংরাজী বছরকে বরণ করতে শুরু হয়ে গেছে জোরদার প্রস্তুতি। গোটা দেশের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও একাধিক নামীদামী রেস্তোরাঁতে বর্ষবরণের প্যাকেজও ঘোষণা করে শুরু হয়েছে বুকিং পর্ব। চলবে রাতভর দেদার খানাপিনা। আর এরই মাঝে বুধবার দামোদর নদের চড়ে বিদ্যাসাগর ফুটবল ময়দানে ‘বর্ধমান সদর পেয়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ বর্ধমান শহরের ৫টি এলাকা থেকে মোট ১৭০জন দুঃস্থ, অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে নজরকাড়া পিকনিকের আয়োজন করল। সংস্থার সম্পাদক প্রলয় মজুমদার জানিয়েছেন, এই ১৭০জন অসহায় মানুষগুলো কেউ পরিচারিকা আবার কেউ দিনমজুরের কাজ করে কোনোরকমে দিনপাত করেন। এঁদের কাছে দুবেলা খাবার জোগাড় যেখানে বিলাসিতা, সেখানে পিকনিকে অংশ নেওয়া স্বপ্ন ছিল। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের এই সংস্থার সদস্য তথা পুষ্টিবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন ১টাকা করে জমা করে একটি ফাণ্ড তৈরী করেছেন। সেই ফাণ্ড থেকেই সারাবছর ধরে তাঁরা বিভিন্নরকম সামাজিক কাজকর্ম করে চলেছেন। এরই অঙ্গ হিসাবে এদিন বর্ধমান শহরের ১৭০জন অসহায় মানুষকে বিভিন্ন জায়গা থেকে বর্ধমানের দামোদর নদের চড়ে ফুটবল মাঠে নিয়ে আসা হয়। সকালে মুড়ি বেগুনি আর কফি দিয়ে শুরু হয়। মাঝে তাঁদের মনে আনন্দ দিতে মিউজিক্যাল চেয়ার এবং হাঁড়ি ভাঙার খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই খেলায় প্রথম থেকে তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরষ্কৃত করা হয়। দুপুরে সাদা ভাত, ডাল, মুরগীর মাংস, মাছ , পনির, চাটনি, পাঁপড় এবং রসগোল্লা দিয়ে পিকনিকের খাবারের আয়োজন করা হয়। বিকালে প্রত্যেককে শীতের একটি করে চাদর প্রদান করা হয়। এদিন এই পিকনিকে হাজির ছিলেন সংস্থার প্রায় ৮০ জন সদস্যও। পিকনিকে অংশ নেওয়া এই সমস্ত দুঃস্থ ও অসহায় মানুষেরা এদিন জানিয়েছেন, এরকম পিকনিকে অংশ নেওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি। এমনকি তাঁরা এদিন যে সম্মান পেলেন তাও কখনো ভুলবেন না।