বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রাত পোহালেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭তম সমাবর্তন উত্সব। উত্সবের উদ্বোধন করবেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। হাজির থাকবেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু এবার সমাবর্তন উত্সবের আগে থেকে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অনিয়ম নিয়ে ওঠা অভিযোগ রীতিমত সমাবর্তনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বেকায়দায় ফেলে দিল। বৃহস্পতিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে সমাবর্তন উত্সব অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্যবারের মত এবারও সমাবর্তনে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কৃতিদের স্বর্ণপদক সহ অন্যান্য ডিগ্রী দেওয়া হবে। কিন্তু একাধিক কারণে বেশ কিছু বিভাগে এবার স্বর্ণপদক দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল সমাবর্তনের ২৪ ঘণ্টা আগে। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ নোটিশ জারী করে বলা হয়েছে সোসিওলজি বিভাগের প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়া ব্যক্তির পদক প্রদান করা হচ্ছেনা আদালতের নির্দেশে। একইভাবে এম.এডেও এই পদক প্রাপ্তিকে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত রাখা হয়েছে মাষ্টার অফ ফাইন আর্ট, মাষ্টার অফ সোস্যাল ওয়ার্ক, মাষ্টার অফ আর্টস ইন ফ্রেন্চ –২০১৮ সালের স্বর্ণপদকও স্থগিত করা হয়েছে। আর এই সমস্ত ক্ষেত্রে কোথাও টেকনিক্যাল ত্রুটি, কোথাও আদালতের মামলা প্রভৃতিকে অজুহাত হিসাবে খাড়া করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএডের স্বর্ণপদক প্রাপক হিসাবে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত এক ছাত্র সর্বজিত ঘোষকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। দেখা গেছে, তিনি যে সময়ে এমএড করেছেন, সেই একই সময়ে তিনি বর্ধমানের রায়না থানার বনতীরে একটি প্রাথমিক স্কুলে নিয়মিত চাকরিও করেছেন। একইসঙ্গে ওই সময়কালে তিনি একটি কোর্সের ডিপ্লোমাও করেছেন। একইব্যক্তি একইসময়ে কিভাবে এই কাজ করতে পারেন – তা নিয়েই বিতর্ক দেখা দেয়। একই অভিযোগ ওঠে ভূগোলের দুই ছাত্রের এমফিল করা নিয়েও। কার্যত সমাবর্তনের আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গাফিলতি নিয়ে রীতিমত বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশেষে সমাবর্তন উত্সবের কয়েকঘণ্টা আগে স্বর্ণপদক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘোষণায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।