E Purba Bardhaman

২৪ সেপ্টেম্বর সিপিআই(এম)-এর পূর্ব বর্ধমান জেলার কেন্দ্রীয় সমাবেশ

Call for CPI(M) Purba Bardhaman district central rally in Burdwan on September 24

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিজেপির চায়ে পে চর্চা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দিদিকে বলো সবই জনগণের সাথে ছল চাতুরী। নিজেদের ধ্বসে যাওয়া ভাবমূর্তি নির্মাণে জনগণের সাথে ছল চাতুরী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল পূর্ব বর্ধমান জেলা সিপিআই(এম)। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক মন্তব্য করেছেন, এই চায়ে পে চর্চা কিংবা দিদিকে বলো কর্মসূচী আসলে বিজেপি এবং সিপিএমের গট আপ গেম। এদিকে, যে সময় সাংবাদিক বৈঠকে অচিন্ত্য মল্লিকরা বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে চায়ে পে চর্চাকে নিয়ে তোপ দেগেছেন সেই সময় খোদ বামপন্থী যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং ছাত্র সংগঠন এসএফআই সেই চায়ের কাপকেই হাতিয়ার করে জনসংযোগের চেষ্টা চালাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে। ইতিমধ্যেই সোস্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাইই নয়, চায়ের কাপে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআইয়ের ডাকে আগামী ১২-১৩ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর থেকে নবান্ন চলোর যে ডাক দেওয়া হয়েছে সেখানে চায়ের কাপে বিপ্লবী ভগত সিং-এর ছবি ব্যবহার করা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন যুব ও ছাত্র সংগঠন। স্বাভাবিকভাবেই খোদ সিপিআই(এম) যখন লিফলেট ছড়িয়ে বিজেপির চায়ে পে চর্চা কিংবা তৃণমূলের দিদিকে বলো কর্মসূচীকে জনগণের সঙ্গে ছল চাতুরী করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন সেখানে কিভাবে বামপন্থী যুব ও ছাত্র সংগঠন সেই চায়ের কাপকেই প্রচারের হাতিয়ার করল – এই প্রশ্নে রীতিমত বিব্রত হয়ে পড়েছেন এদিন অচিন্ত্য মল্লিকরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অচিন্ত্য মল্লিক ছাড়াও হাজির ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অমল হালদার, কৃষক সভার জেলা সম্পাদক আব্দার রেজ্জাকও। যদিও বেশ কিছুটা ঢোঁক গিলেই এদিন অচিন্ত্যবাবু জানান, ডিওয়াইএফআই বা এসএফআই-এর এই কর্মসূচীর বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। তাঁদের না জানিয়েই এই কাজ করা হয়েছে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র ও রাজ্যের জনগণবিরোধী নীতির প্রতিবাদে বর্ধমান জেলায় কেন্দ্রীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে জেলা সিপিএম। সমাবেশে মুখ্য বক্তা সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। অচিন্ত্যবাবু এদিন জানিয়েছেন, দেশ ক্রমশই ভয়াবহ অবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের ভ্রান্ত নীতি এবং একটু একটু করে বিদেশী পুঁজির হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্ক থেকে রেলকে বৃহত কর্পোরেট হাউসের হাতে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী কাজ করছে রাজ্যের তৃণমূল সরকারও। একদিকে যখন তারা সিঙ্গুরে কৃষিজমিতে টাটাদের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে, তখন নদীয়ায় ইসকনকে ৭০০ বিঘা কৃষি জমি দিচ্ছে কৃষকের অনুমতি ছাড়াই। আর এরই প্রতিবাদে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে বর্ধমান শহরে। অচিন্ত্যবাবুরা এদিন জানিয়েছেন, যেভাবে একের পর এক দেশের স্বার্থবিরোধী নীতিকে কেন্দ্রের মোদি সরকার এবং রাজ্য সরকার বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নিয়েছে তাতে বামপন্থীদের আর চুপ করে বসে থাকার দিন নেই। ইতিমধ্যেই তাঁরা গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যু সহ কেন্দ্রের ও রাজ্যের এই সমস্ত জনবিরোধী নীতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। আর তারপরেই জেলায় এই ঐতিহাসিক সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version