গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গোদায় জমি অধিগ্রহণের মামলায় আদালতে মিথ্যা হলফনামা দেওয়ায় পূর্ব বর্ধমানের সহকারী ভূমি অধিগ্রহণ আধিকারিক রমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেস রুজু করলেন প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শেখ মহম্মদ রেজা। শুক্রবার সিজেএম আদালতে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। মামলাটি নথিভূক্ত করেন সিজেএম। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য ষষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়ে দেন সিজেএম। এই মামলায় জমির মালিক আব্দুল আলিম ও তার আইনজীবী অমিয় চৌধুরিকে সাক্ষী করা হয়েছে। আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য ও হলফনামা দেওয়ার ধারায় (১৯৩আইপিসি) মামলা রুজু হয়েছে। সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়ায় প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলা রুজু হওয়ার বিষয়ে গভর্ণমেন্ট প্লিডার (জিপি) মুরারিমোহন কুমার বলেন, কেস রুজু হওয়ার কোনও নথি পাইনি। নথি পেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালতে বিচারক অভিযোগ করেছেন, জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ক্ষতি পূরণের মামলায় এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি সহকারী ভূমি অধিগ্রহণ আধিকারিক একটি হলফনামা জমা দেন। তাতে তিনি জানান, কলকাতা হাইকোর্ট মামলার শুনানির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। যদিও পরবর্তীকালে দেখা যায়, হলফনামায় দেওয়া তথ্য সঠিক নয়। হাইকোর্ট মামলার শুনানির উপর কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি। উল্টে হাইকোর্টের নির্দেশমতো ক্ষতিপূরণের টাকা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা না দেওয়ায় আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এনিয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয় সহকারী ভূমি অধিগ্রহণ আধিকারিকের। তাতে তিনি ভুল হয়ে গিয়েছে বলে জানান। আদালতকে বিভ্রান্ত করতে সরকারী ভূমি অধিগ্রহণ আধিকারিক মিথ্যা হলফনামা পেশ করেছেন। ভুল স্বীকার করে দোষের কথা তিনি কবুল করে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের টাকায় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মামলাকে দীর্ঘায়িত করছে। জেনেশুনে আদালতকে ভুল পথে চালিত করতে এ ধরণের মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সে কারণে সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে অভিযোগে জানিয়েছেন বিচারক।