রায়না (পূর্ব বর্ধমান) :- রায়না থানার খালেরপুল এলাকার এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের মামলায় নতুন করে কেস রুজু করে তদন্তভার হাতে নিল সিবিআই। সোমবার সিবিআইয়ের তরফে বর্ধমানের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে এফআইআরের কপি জমা দেওয়া হয়। আদালত সেটি গ্রহণ করেছে। মামলায় অপহরণ করে আটকে রাখার পাশাপাশি পাচার ও এসসি অ্যান্ড এসটি অ্যাক্টের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিএসপি রাজেন্দ্র হেমন্ত কুজুর কেসের তদন্তকারী অফিসার নিযুক্ত হয়েছেন। মামলার যাবতীয় নথিপত্র সিআইডির অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটের ওসির কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত কেসের তদন্তভার সিআইডির কাছ থেকে সরিয়ে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামী ১৩ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে হাইকোর্ট। সেদিন তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে।
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ৯ আগস্ট বছর চোদ্দোর ওই ছাত্রী সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ টিউশন পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে তার হদিশ মিলছে না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও মেয়ের হদিশ না পেয়ে তার মা ১৭ আগস্ট ঘটনার কথা জানিয়ে রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিস। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ সফিকুল ও শেখ জসীমউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। দু’দফায় তাদের হেফাজতে নিয়েও ছাত্রীকে খুঁজে বার করতে পারেনি পুলিস। পুলিসের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে। পরে, ছাত্রীর মা বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।