গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পদে পরিবর্তন হল। শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে নতুন সম্পাদক হলেন বর্ধমান আদালতের আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ। এতদিন তিনি হিসাবরক্ষক পদে ছিলেন। হিসাবরক্ষক পদে এলেন পুরোহিতদের প্রতিনিধি অরুণ ভট্টাচার্য। ৭ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডের বাকি সদস্যরা হলেন আশিস দাশগুপ্ত, শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায়, ড. প্রণয়াদ মহাতাব, দুর্গাচরণ চট্টোপাধ্যায় ও পুরসভার চেয়ারম্যান। পুরসভার চেয়ারম্যান পদাধিকারবলে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। বোর্ডে আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রয়েছেন জেলাশাসক এবং বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল খোকন দাস। যদিও ট্রাস্টি বোর্ডে পুরোহিত প্রতিনিধি মনোনয়ন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পুরোহিতদের সংগঠন ট্রাস্টি বোর্ডে অন্য দু’জনকে প্রতিনিধি করার দাবি জানিয়েছিল। এ ব্যাপারে সংগঠনের তরফে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে চিঠি দেওয়া হয়। সংগঠনের দাবি না মানায় ক্ষুব্ধ সদস্যরা। এনিয়ে ফের প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার জেলা শাসকের উপস্থিতিতে ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের সভা হয়। সভায় সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। বিশেষ করে মন্দিরের বাইরের এলাকায় সৌন্দর্যায়নের কাজ আটকে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা শাসকের কাছে আবেদন জানানো হয়। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের উন্নয়ন নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন সদর মহকুমা শাসক। কমিটিতে স্থানীয় কাউন্সিলার মমতা রায়, খোকন দাস, স্বপন হাজরা ও শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। উন্নয়ন কমিটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। কমিটিতে থাকা দু’জনের সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে এলাকার অনেকেরই। সেক্রেটারি হয়ে সঞ্জয়বাবু বলেন, দীর্ঘদিন ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছি। কাজ করতে সমস্যা হবেনা। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের উন্নয়নে সবাই মিলে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করা হবে।