গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আদালত ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে রবিবার দুর্গাপুরে যাচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। তার সঙ্গে অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি জোনাল জজ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অতিরিক্ত জোনাল জজ সব্যসাচী ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বর্ধমানের জেলা জজ কেশাং ডোমা ভুটিয়া ও দুর্গাপুর আদালতের বিচারকরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। জেলা ভাগ হলেও এখনও পশ্চিম বর্ধমানে জেলা আদালত গঠিত হয়নি। আসানসোল ও দুর্গাপুরের বেশকিছু মামলার শুনানি এখনও বর্ধমান আদালতে হয়। দ্রুত জেলা আদালত চালুর দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের আইনজীবীরা। অনুষ্ঠানে জেলা আদালত চালুর বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর ঘোষণার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন আইনজীবীরা। এখন যেখানে দুর্গাপুর আদালত রয়েছে তার কাছাকাছি একটি জমিতে নতুন আদালত ভবন তৈরি হবে। এ ব্যাপারে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। জোনাল জজ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুর আদালত ভবনের জমি দেখেও এসেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান বিচারপতির দুর্গাপুরে যাওয়ার আগেরদিন শনিবার বর্ধমান জেলা আদালত পরিদর্শনে আসবেন জোনাল জজ ও অতিরিক্ত জোনাল জজ। আদালত পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রশাসনিক বৈঠকেও হাজির থাকবেন তাঁরা। জোনাল জজ ও অতিরিক্ত জোনাল জজের আদালত পরিদর্শনের জন্য জেলা আদালতের সমস্ত বিচারকদের সেদিন উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন জেলা জজ। আদালতের কর্মীদেরও সেদিন হাজির থাকতে বলা হয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা শাসক ও পুলিস সুপারেরও উপস্থিত থাকার কথা। বারের প্রতিনিধিরাও সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে আদালতের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আদালত চত্বরে আইনজীবীদের বসার ঘর তৈরি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ঘর তৈরি বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে সরকার। দুই বিচারপতির উপস্থিতিতে ঘর তৈরি নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন আইনজীবীরা। বিচার প্রার্থীদের বসা-দাঁড়ানোর জায়গা না থাকা, পানীয় জল, শৌচাগারের সমস্যা নিয়ে বারের তরফে বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হতে পারে। এছাড়াও সিজেএম ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালত কক্ষের আয়তন বাড়ানোর জন্য বারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। আদালতের রায় ও নির্দেশ ওয়েবসাইটে আপলোড করা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও বিচারকদের হাজিরার বিষয়েও বার্তা দেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কয়েকমাস আগে বিচারকদের হাজিরা খতিয়ে দেখতে গোপনে আদালত পরিদর্শন করেন জোনাল জজ। জেলা জজ বিচারক এবং আদালত কর্মীদের অফিসে হাজিরার বিষয়ে দিনকয়েক আগে নির্দেশিকা জারি করেছেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, দুই বিচারপতি প্রশাসনিক সভায় হাজির থাকবেন। সেখানে ঘর। তৈরি নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তার সমাধানের পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা দুই বিচারপতিকে জানানো হবে। আশা করি, বিচারপতিরা বিষয়গুলি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন।