বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মুখ্যমন্ত্রীর খালি ভুল হয়ে যায়, আর উনি উল্টোপাল্টা অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার বর্ধমান পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কালনাগেট থেকে নাড়ি মোড় পর্যন্ত প্রাতঃভ্রমণ কর্মসূচিতে বেড়িয়ে একথা বললেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করছেন ১৯ লক্ষ ইভিএম গায়েব হয়ে গেছে, একই সাথে ভোটের হাড় বৃদ্ধি নিয়েও তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে ৫ শতাংশ ভোট বেড়ে গেছে তা নিয়ে অভিযোগ তোলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি সব সময় কিছু মিথ্যে কথা বলে মিডিয়ার লোকদের ব্যস্ত রাখেন। ওনার কথায় আজকাল পাবলিক ততটা গুরুত্ব দেয় না, কারণ উনি মাথা খাটিয়ে একটা মিথ্যা বার করেন, আর তাঁর যারা উপদেষ্টা এইসব গল্প দেন। আসল ওনার পার্টির লোকেরা যে কত টাকা লুট করেছেন গরিব মানুষের, চাকরি দিতে গিয়ে কত হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে এটা কখনো বলেন না। ওনার খালি একটু ভুল হয়ে গেছে, আইলার টাকা দিতে ভুল হয়ে যায় ওনাদের পার্টির লোকের অ্যাকাউন্টে চলে যায়। মাষ্টারীর টাকা লুট হয়ে যায়, একটু ভুল হয়ে যায়। এইরকম ভুল বারবার করেন আর উল্টোপাল্টা খালি অভিযোগ করেন। এগুলো দেখেছে লোকে ১২-১৩ বছর। আর লোকেদের এটা নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই। অন্যদিকে, কুণাল ঘোষকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারিত করা এবং কুণাল ঘোষের দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য সম্পর্কে এদিন দিলীপবাবু বলেন, উনি তো পার্টির মধ্যে আছেন এত বছর, উনি কেন তথ্য দিয়ে দিচ্ছেন না। আমরা জানি কে কত টাকা নিয়েছে। এখানকার এমএলএ-ও টাকা নিয়েছে, আমার কাছে তথ্য আছে। কোর্ট দেখছে, কোর্ট দেখবে। আর উনি যদি চান, এখানকার রাজনীতি স্বচ্ছ হোক, তাহলে উনি সহযোগিতা করুক, ইডি সিবিআইকে তথ্য দিন, তাহলে সব জেলে যাবে। অধীরের মুখে বিজেপির প্রশংসা, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার থেকে বিজেপিকে ভোট দেওয়া ভালো সম্পর্কে দিলীপবাবু এদিন বলেন, সারা পশ্চিমবাংলার লোকে এই কথা ভাবছেন। কত দিন আর টিএমসিকে ভোট দেওয়া যায়। কারণ টিএমসি এখানকার টাকা পয়সা লুট করে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য দপ্তরকে খেয়ে ফেলেছে, মহিলাদের মান সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, বাঙালি যতটা সর্বনাশ করার, বদনাম করার টিএমসি করেছে। যেকোনো একজন স্বঅভিমানী বাঙালি হিসেবে সেই চাইবেন টিএমসি পার্টিটা যাক। আর যাক মানে কে হারাতে পারে? বিজেপি। সাধারণ মানুষ ঠিক করে রেখেছে, আর অধীরদা জেনে গেছেন কংগ্রেসের দ্বারা সম্ভব নয়, আর সিপিএমের দ্বারাও সম্ভব না, বিজেপিই পারবে। আমার মনে হয় সেটা ভোটের রেজাল্টে দেখতে পাবেন।