E Purba Bardhaman

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় ব্যাঙ্কের তৎকালীন ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি

The University of Burdwan - Academic Campus - Gola

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই স্থায়ী আমানত প্রকল্পে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের জমা রাখা প্রায় ২ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় ব্যাঙ্কের তৎকালীন ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। ধৃতের নাম পিনাকি বিশ্বাস। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর থানার বি-জোনের নিউটাউন অ্যাভেনিউয়ে তার বাড়ি। বর্তমানে তিনি দুর্গাপুরে কর্মরত। ধৃতকে শনিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানায় সিআইডি। যদিও ধৃতের আইনজীবী জামিনের সওয়ালে বলেন, মিথ্যা মামলায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি তদন্তে সব ধরণের সহযোগিতা করতে রাজি আছেন। তাঁকে জামিন না দিলে তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন। যদিও সিআইডি কম্পিউটার উদ্ধারের কথা বলে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে আদালতে জানান। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ধৃতকে ৫ দিন সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের বড়বাজার এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা স্থায়ী আমানত প্রকল্পে জমা রাখে বিশ্ববিদ্যালয়। ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চিঠি নিয়ে সেখানকার কর্মী শেখ এনামূল হক ব্যাঙ্কে এসে টাকা তোলার জন্য কাগজপত্র জমা দেয়। তা দেখে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাঙ্কের তরফে টাকা তোলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টাকা তোলার জন্য কোনও নথিপত্র জমা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই ব্যাঙ্কের সিনিয়র ম্যানেজার নেহারাণি ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি সামনে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় জানতে পারে, শহরের জেলখানা মোড়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ঘটনার বছর দেড়েক আগে ১ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮৭৬ টাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা না পড়ে একটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। সেখানেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সই জাল করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। দু’টি ঘটনাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিভাগের কর্মী ভক্ত মণ্ডল ও ঠিকাদার সুব্রত দাসের নাম জড়ায়। দ্বিতীয় ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সুজিত চৌধুরী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

Exit mobile version