সোমবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা, রাতেও থাকবেন বর্ধমানে
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- প্রস্তুতি তুঙ্গে। সোমবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভা। কিন্তু যে সাংসদ এলাকায় এই প্রশাসনিক সভা সেই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রজিৎ সিং অহলুবালিয়াকে জানানো হল না কোনো আমন্ত্রণ। এদিকে, গোটা শহরজুড়ে সাজ সাজ রব। রাস্তাঘাট পরিস্কার করা হয়েছে। শহরের জিটিরোডের ডিভাইডারে টাঙ্গানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হোডিং, ব্যানার ও ফ্লেক্স। পড়েছে রঙের পোচও। সংস্কৃতি লোকমঞ্চের ভিতরে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সড়কপথে মুখ্যমন্ত্রী ২টো থেকে ৩টের মধ্যে বর্ধমানে আসবেন। শহরের সেচ বাংলোয় দুপুরের আহার করে তিনি সংস্কৃতি লোকমঞ্চে প্রশাসনিক সভা করবেন। প্রশাসনিক সভার পর সোমবার তিনি বর্ধমানেই রাত কাটাবেন। থাকার কথা সেচ বাংলোতে। ইতিমধ্যেই সেচবাংলোকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর খাবারের জন্য আনা হয়েছে বিশেষ ৫জন রাঁধুনিকে। নিয়ে আসা হয়েছে দুজন টেষ্টারকেও। রয়েছে ৩ টি আধুনিক জেনারেটর ব্যবস্থাও। থাকছে ৫জন ডাক্তার সহ একটি মেডিকেল টিমও। এদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী প্রায় আড়াই কোটি টাকার মোট ৪০টি প্রকল্পের শিলান্যাস এবং ৪০টি প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই। প্রাথমিকভাবে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের সাবষ্টেশন, সেতু, কৃষি ভবন, ভাতারের নবনির্মিত স্টেডিয়াম, বর্ধমান ১ ব্লকে ২টি মিনি স্টেডিয়াম সহ বেশ কয়েকটি জল প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও ৪০টি প্রকল্পের যে শিলান্যাস করবেন তার মধ্যে রয়েছে গুদামঘর, রাস্তা সংস্কার, পুকুর খনন, বাঁধ নির্মাণ প্রভৃতিও। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক সভায় ডাক পেয়েছেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। কিন্তু ডাক পেলেন না বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রজিৎ সিং অহলুবালিয়া। এব্যাপারে বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, তিনি যখন দার্জিলিং-এ ৫ বছর সাংসদ ছিলেন তখনও তাঁকে কোনো সরকারী কর্মসূচীতে ডাকা হয়নি। আসলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ন্যূনতম শিষ্টাচারই জানেন না। তিনি আসলে হিটলারী কায়দায় সরকার চালান। অথচ সরকারী নিয়ম আছে কোনো পঞ্চায়েত এলাকায় একটি কল বসাতে গেলেও সেখানকার নির্বাচিত প্রতিনিধিকে তা জানাতে হয়। অথচ জেলার প্রশাসনিক বৈঠক। তিনি তাঁর সাংসদ কোটায় উন্নয়নের কাজও করবেন। অথচ তাঁকেই জানানো হল না আমন্ত্রণ। এটা সাংসদ হিসাবে তাঁর লজ্জা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা পাওয়া উচিত। আসলে উনি কোনো নিয়মই মানেন না।