E Purba Bardhaman

আত্মঘাতী তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের তীর

College Student Suicide. Complaint against the University

মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর আত্মঘাতী হবার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মেমারী থানার রসুলপুর এলাকায়। আত্মঘাতী ছাত্রীর নাম টুকটুকু মালো (২০)। বাড়ি রসুলপুরের ভুবনমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায়। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী তুলেছেন। উল্লেখ্যদ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট প্রকাশিত না হওয়া সত্ত্বেও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার সূচি ঘোষণা নিয়ে যখন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রীতিমত মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। সেইসময় বর্ধমানের রসুলপুর ভুবনমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা টুকটুকি মালো প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় ফের অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মঘাতী হলেন। আর এই ঘটনায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছেরীতিমত অভাবের সংসারে বড় মেয়ে টুকটুকিকে উচ্চশিক্ষা দিচ্ছিলেন তাঁর বাবা মা। টুকটুকির বাবা দিলীপ মালো স্থানীয় একটি হোটেলের কর্মী। মা পরিচারিকার কাজ করেন। টুকটুকির একটি ভাই রয়েছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, টুকটুকির প্রথম বর্ষে অকৃতকার্য হয়েছিল। তাই নিয়ম অনুযায়ী সে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছিল। বর্ধমান বিবেকানন্দ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী টুকটুকি সোমবার রাতে ইন্টারনেটে প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফল দেখে। সেখানেই সে অকৃতকার্য হয়েছে বলে জানতে পারে। এরপরই ঘরের মধ্যে ওড়নার ফাঁসে সে আত্মঘাতী হয়। এই ঘটনায়্ মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবার দাবী করেছেন। তাঁদের অভিযোগবিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন না করার জন্যই আত্মঘাতী হয়েছেন টুকটুকি।

Exit mobile version